গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কৌচাকুড়ি এলাকায় নারী শিক্ষার্থী ধর্ষনের শিকার হয়েছে। এ দিকে একমাস অতিবাহিত হলেও পুলিশ আসামী ধরছেনা বলে ধর্ষিতার বাবা মোকলেছ হাওলাদার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ওই ঘটনায় ধর্ষিতার মা বিউটি বাদী হয়ে ধর্ষক নুরুল হককে আসামী করে ২০ ডিসেম্বর কালিয়াকৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিয়ে মৌচাক সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত নুরুল হক(২০) কৌচাকুড়ি এলাকার আবুল হাসেমের ছেলে। সে স্থানীয় কারখানায় চাকুরী করেন।
মামলার অভিযোগে জানা যায়,উপজেলার কৌচাকুড়ি এলাকায় মোকলেছ হওলাদার তার স্ত্রী বিউটি দুই মেয়ে ও দুই ছেলে নিয়ে বসবাস করে আসছে। মোকলেছ হওলাদার চাকুরী করেন তার স্ত্রী বিউটি স্থানীয় সফিপুর বাজারে ব্যবসা করেন। তার ৭ম শেনীর মেয়েসহ অন্য সন্তানরা বাড়ীতে থাকে।
তার মেয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে পাশের বাড়ীর প্রতিবেশী নুরুল হক তাকে প্রেম প্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করতো। এ কথা কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকী দিত। ফলে ওই মেয়ে তাদের কিছু বলতোনা। গত ৬-১২-২৪ইং মোকলেছ হওলাদার এর মেয়ের গুপ্তঅংগ থেকে রক্তপাত হতে থাকে।
পরে মেয়েকে জিঙ্গাসাবাদে সে জানায় তাকে বাসায় একা পেয়ে নুরুল হক তাকে জোরপুর্বক ধর্ষনের চেষ্টা করে। পরে মেয়ের বাধার মুখে ধর্ষন করতে না পেরে যৌনাঙ্গে হাত ঢুকিয়ে দিয়ে জখম করে। ফলে তার রক্তপাত হয়।
বিষয়টি নিয়ে মেয়ের মা বিউটি কালিয়াকৈর থানায় অভিযোগ করেন। পরে থানায় মামলা রুজু হয়। মামলানং ২৬,তারিখ ২০-১২-২৪ইং। ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী ২০২০এর ৯(৪)(খ)৯(১)।
ধষিতার বাবা মোকলেছ হওলাদার বলেন, এক মাসেও পুলিশ আমার মেয়ের ধর্ষনকারীকে গ্রেফতার করতে পারেনি। আমি মেয়ে ধর্ষনের বিচার পায়নি ফলে মৌচাক সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ করেছি।
কালিয়াকৈর থানার এস আই মামলার তদস্তকারী কর্মকর্তা জামিল হোসেন বলেন, ধষিতার মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়েছে। ২২ ধারায় সে তার ধর্ষনের বিষয় স্বীকার করেছে। একজন আসামী সে পলাতক তাকে গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।