কালিয়াকৈরে বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিক বিক্ষোভ
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকালে বকেয়া বেতন ও সার্ভিস ভাতার দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে মাহমুদ জিন্স কারখানার শ্রমিকরা। এসময় সড়কের উভয় পাশে যানজটের সৃষ্টি হয় এবং পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রায় আধা ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।
কারখানার শ্রমিক ও পুলিশ সূত্র জানায়, গত ৯ নভেম্বর কারখানাটির উৎপাদন কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেলে কর্তৃপক্ষ কারখানাটি স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করে। এদিকে শ্রমিকরা দুই মাসের বকেয়া বেতন, বার্ষিক ছুটি ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকার জন্য দফায় দফায় বিক্ষোভ করে আসছে। কর্তৃপক্ষ একাধিকবার বেতন পরিশোধের তারিখ ঘোষণা করলেও তা রক্ষা করেনি। সর্বশেষ গত ২৮ এপ্রিল বেতন পরিশোধ করার কথা থাকলেও শ্রমিকরা ১ মে সকালে কারখানার মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। এসময় শ্রমিকরা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় শ্রমিকরা সেদিন তাদের কর্মসূচি স্থগিত করে। কিছুক্ষণ পর ১৫ মে বেতন পরিশোধের তারিখ জানিয়ে কর্তৃপক্ষ কারখানার মূল ফটকে নোটিশ টানিয়ে দেয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে পাওনা বেতন নিতে এসে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হয়ে বিকাল তিনটার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ও থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে শ্রমিকরা মহাসড়ক থেকে সরে গিয়ে কারখানার সামনে প্রায় দেড় শতাধিক শ্রমিক অবস্থান নেয়।
শ্রমিকদের ভাষ্য, কর্তৃপক্ষ বারবার তারিখ পিছিয়ে শ্রমিকদের সাথে প্রতারণা করছে। তাঁরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আজকের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আগামীকাল শুক্রবার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক পুরোপুরি অবরোধ করা হবে। তাঁরা আরও জানান, প্রায় ৮ মাস ধরে পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে কর্তৃপক্ষ একের পর এক তারিখ দিচ্ছে, কিন্তু পাওনা টাকা এখনো প্রদান করেনি। সর্বশেষ আজ (১৫ মে) বেতন পরিশোধ করার কথা ছিল, কিন্তু তাদের আজ কোনো খোঁজ নেই।
কালিয়াকৈর থানার পরিদর্শক মোঃ জোবায়ের জানান, প্রায় ৮ মাস ধরেই শ্রমিকরা বেশ কয়েকবার বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করছে। কর্তৃপক্ষ কয়েকবার তারিখ দিলেও শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করেনি। আজকে টাকা পরিশোধের কথা ছিল। শ্রমিকরা বিকাল তিনটা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করেছিল। পরে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সরিয়ে দিলে তারা কারখানার মূল ফটকে অবস্থান নেয়। কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।