চন্দ্রা মহাসড়কে ঈদযাত্রায় বাড়ছে চাপ, নিরাপত্তা জোরদার
ঈদুল আজহার আগে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের চন্দ্রা এলাকায় গণপরিবহন ও কোরবানির পশুবাহী গাড়ির চাপ বেড়েছে। যানজট নিরসন ও যাত্রী নিরাপত্তায় পুলিশ ও যৌথবাহিনী সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
ঈদুল আজহার আর মাত্র পাঁচ দিন বাকি। সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ততই গণপরিবহন ও কোরবানির পশুবাহী গাড়ির চাপ বাড়ছে। এছাড়াও যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে চন্দ্রা এলাকা জুড়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। ইতোমধ্যে চন্দ্রায় পুলিশের পাশাপাশি যৌথ বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
সোমবার (২ জুন) সকাল থেকেই গাজীপুরের কালিয়াকৈর চন্দ্রা এলাকায় মহাসড়কের এমন চিত্র দেখা যায়। এদিকে মহাসড়কে ঈদযাত্রায় যানজট নিরসনে বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো হয়েছে পুলিশ ক্যাম্প।
ঢাকা রাজধানীসহ শিল্পাঞ্চল গাজীপুর জেলায় বসবাসরত উত্তরবঙ্গের ১৭টি জেলার মানুষকে এই চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকা হয়েই নিজ গ্রামের বাড়িতে যেতে হয়। ফলে প্রতি বছর এই চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে হয় যাত্রীদের। কয়েক দিন পরেই ঈদুল আজহা। এছাড়া, কালিয়াকৈর উপজেলায় তিন শতাধিক শিল্প কারখানা রয়েছে। ইতিমধ্যেই সোমবার সকালে ছোট ছোট অনেক শিল্প কারখানা কর্তৃপক্ষ ছুটি ঘোষণা করেছেন। যার ফলে প্রিয়জনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পরিবার পরিজন নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন। তবে দূরপাল্লার যানবাহনের কাউন্টারগুলোতে এখনো নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
এদিকে চন্দ্রা এলাকায় ছিনতাইকারী, ডাকাত, মলম পার্টি সদস্যদের হাতে যেন যাত্রীরা কোনো রকম হয়রানির শিকার না হয়, তার জন্য চন্দ্রা এলাকা জুড়ে বসানো সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি পুলিশ ও যৌথবাহিনীর টহল চলমান রয়েছে। সকাল থেকেই যানজট নিরসনে মহাসড়কে সেনাবাহিনী সদস্য ও পুলিশ সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন।
নাওজোড় (কোনাবাড়ি) হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ সওগা তুল আলম জানান:
“এবার ঈদকে ঘিরে মহাসড়কে যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে চন্দ্রা এলাকা জুড়ে ১০০টি সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ চলছে। এছাড়া হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ, থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী সদস্যরা মহাসড়কে থাকবে।”