গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌর সভার ৭নং ওর্য়াডের জোড়া পাম্প এলাকায় জলাবদ্ধতার কারনে গত ১ মাস ধরে পনি বন্ধি হয়ে আছে একটি বাড়ির ১১ টি পরিবার ।একাদিক বার পৌরসভার কতৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেও পায়নি কোন সমাধান ।সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় বাড়ির মালিক মোঃ গোলাম মোস্তফা তার পরিবার সহ আরো ১০ পরিবার ভাড়া থাকেন ওই বাড়িতে ।
এদিকে ময়লা পানি নিস্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় গত ১ মাস ধরে বাড়ির আঙ্গিনায় জমে থাকা ময়লা পানির কারনে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে ।এছাড়াও বাড়িটি নিচু স্থানে হওয়ায় আসে পাশের আরো কয়েকটি বাড়ির ময়লা ও দূষিত পানি ওই বাড়িতে প্রবেশ করায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন বাড়ির মালিকসহ ১০ পরিবার ।
এদিকে পাশেই পানি নিস্কাশনের জন্য পুরাতন ড্রেন থাকলেও পরিস্কার না থাকায় ময়লা নোংরা পানি আটকে থাকে ।একাদিক বার পৌরসভার কতৃপক্ষকে বিষয়টি জানালেও কোন প্রতিকার পায়নি ১১ পরিবার ।
বাড়ির মালিক গোলাম মোস্তফা জানান আমরা প্রায় ২৫ বছর ধরে বাড়ি র্নিমান করে বসবাস করে আসছি ।এখানে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। কিন্তু এখন তো বৃষ্টি নেই তার পড়েও আমার বাড়িতে ময়লা পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে ।আগে ২০ টি রুম বাড়া দিয়েছিলাম ।গত একমাস ধরে জলাবদ্ধতার কারনে ৯ বাড়াটিয়া চলে গেছে বাকি ১১ জন বাড়াটিয়া তাড়াও থাকতে নারাজ ।
আমি পৌরসভার অফিসে অনেক বার বলেছি তারা আশ্বাস দিলেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি ।তাছাড়া বাড়ির পাশে একটি পুরাতন ড্রেন রয়েছে সেটি পৌরসভার লোকজনের পরিস্কার করার কথা থাকলেও পরিস্কার না করায় পানি নিস্কাশন হয়না ।আমরা পৌর কতৃপক্ষের কাছে দ্রæত এ সমস্যার সমাধান চাই ।
ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া রাজিব হোসেন,মফিজুল ইসলাম, রাসেদুল আলম বলেন আমরা এ বাড়িতে ৬ বছর ধরে বসবাস করছি ।বৃষ্টি হলে পানি জমে। কিন্তু এখন তো বৃষ্টি নেই তারপড়েও নোংড়া ময়লা পানি বাড়িতে প্রবেশ করে গত ১ মাস ধরে আমরা ভোগান্তী পোহাচ্ছি ।
এছাড়াও ময়লা পানির কারনে আমাদের ছেলে মেয়েরা চুলকানিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে ।ময়লা পানির দূর্গন্ধে বাড়িতে থাকা দায় হয়ে পড়েছে ।
স্থানীয় দোকানদার সারোয়ার হোসেন বলেন এই বাড়ির পাশেই আমার মুদির দোকান প্রায় সময় ময়লা পানি দোকনের সামনেও চলে আসে ।এছাড়া সব সময় পানির দূর্গন্ধ তো আছেই ।আমরা এর প্রতিকার চাই ।
পৌরসভার ৭নং ওর্য়াড কাউন্সিলরের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন বিষয়টি আগে অবগত ছিলাম না তবে বিষয়টি খোজ নিচ্ছি ।অবশ্যই ড্রেনেজ ব্যবস্থার উদ্যোগ নেয়া হবে ।