গাজীপুরের কালিযাকৈর উপজেলার মৌচাক তেলিরচালা এলাকায় একটি পোষাক কারখানার ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকালে সাড়ে এগারোটার দিকে বিএনপির স্থানীয় নেতাদের দুই গ্রপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ও সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের অত্যন্ত ১২ জন আহত হয়েছেন ।পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে ।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্র জানায় উপজেলার মৌচাক তেলিরচালা এলাকায় ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে অবস্থিত লগোজ অ্যাপারেলস নামক একটি পোষাক তৈরি কারখানায় ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোরনে আ’লীগ সরকার পতনের পর ওই কারখানার ঝুট মালামাল দীর্ঘদিন গোডাউনে জমা পড়ে ছিলো।
কারখানা কতৃপক্ষ কিছুদিন আগে ওই কারখানার ঝুট মারামাল বের করার জন্য মৌচাক ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক মোশারফ হোসেন ও জেলা যুবদলের সদস্য আবুল হোসেন রনির নামে বরাদ্ধ দেন। তারা দুজনেই বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়্যেদুল আলম বাবুলের অনুসারী।
শনিবার সকালে মোশারফ হোসেন ও রনিসহ ২০ থেকে ৩০ জন লোক নিয়ে কারখানার মালামাল বের করতে যায় ।এসময় কয়েক ট্রাক মালামাল বের করা হলে।
এরই মধ্যে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকির অনুসারি ওর্য়াড বিএনপির সাধারন সম্পাদক হারুর অর রশিদ ও বিএনপি নেতা নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে ৩০ থেকে ৪০ জন ব্যক্তি দেশিয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা করে ।
এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটলে মোশারফ হোসেন,আবুল হোসেন রনি,সাইজুদ্দিন ও সিহাবসহ উভয় পক্ষের অত্যন্ত ১২জন আহত হয় ।খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ুন্ত্রনে আনে ।
কালিয়াকৈর থানাধীন মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আব্দুস সেলিম বলেন, দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে তবে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।