গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার টান কালিয়াকৈর এলাকা থেকে গত বুধবার রাতে মোঃ সোহায়েব (৫) শিশু নিখোঁজের ঘটনার ৬ দিন পর জানা গেলো ওই শিশুকে হাত পা বেধে জীবিত অবস্থায় ঘাটাখালি নদীতে ফেলে দেয় অপহরনকারীরা।
এ ঘটনার দিন রাতেই স্বজনদের কাছে ফোনে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করেন। অন্যথায় টাকা না দিলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয়। এ ঘটনায় বুধবার রাতেই নিখোজ শিশুর দাদা মোঃ শাজাহান মিয়া বাদি হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি নিখোঁজ সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেন।
এদিকে ঘটনার পর দিন ওই ফোনের সূত্র ধরে দুই জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। এদিকে ৫ দিন অতিবাহিত হওয়ার পড়েও অপহরণকৃত শিশুকে উদ্ধারে কুলকিনার করতে পারছিলেন না পুলিশ। অপহরনের বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হলে আটককৃত ব্যক্তি ও ফোনের কল লিষ্টের সূত্র নিখোজ শিশুর প্রতিবেশি চাচা সানোয়ার হোসেনকে মিরপুর শাহ আলীর মাজার থেকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে শিশু সোহাইবকে অপহরনের পর হাত পা বেঁধে জীবিত অবস্থায় নদীতে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেন। পরে তার দেযা তথ্য মতে, পুলিশ দিনভর ঘাটাখালী নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। আটককৃত দুইজনকে সোমবার সকালে গাজীপুর জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ। অপর আটককৃত শাকিব নামের এক জনকে সাথে নিয়ে উদ্ধার অভিযান অব্যহত রেখেছে পুলিশ।
নিখোঁজ শিশু হলেন, উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের জাথালিয়া গ্রামের রুবেল হোসেনের ছেলে। তারা স্বপরিবারে টান কালিয়াকৈর এলাকার বাছেদ মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থেকে পিতা রুবেল রাজধানী পরিবহনের গাড়ি চালান এবং মা রোজিনা স্থানীয় পোষাক কারখানায় চাকরি করেন।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলার ফুলবাড়িয়া জাথালিয়া (চাপুরিয়া) গ্রামের মৃত রবু মিয়ার ছেলে সানোয়ার হোসেন(৩৫), নাটোরের লালপুর উপজেলার বেবিনাবাড়ী গ্রামের রফিজ উদ্দিনের ছেলে, রাসেল উদ্দিন(২৪) ও উপজেলার টান কালিয়াকৈর এলাকার বিল্লাল হোসেনের ছেলে শাকিব মিয়া (২০) ।
কালিয়াকৈর থানার ওসি রিয়াদ মাহমুদ বলেন. শিশু অপহরনের ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে ।প্রাথমিক তারা ঘটনার কথা শিকার করেছেন ।দুইজনকে গাজীপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে ও শাকিব নামের একজনকে সাথে নিয়ে পুলিশ উদ্ধার অভিযান অব্যহত রেখেছে।