বাণিজ্যজামালপুর

কাঁচা মরিচের কেজি ৫০০ টাকা, বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম: গরিবের চোখে সরিষা ফুল

কাঁচা সবজিসহ নিত্যপণ্যের সকল পণ্যের দামে সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। কাচা মরিচ মরিচের দাম প্রতি কেজি ৫০০ টাকা। সকল সবজি গরিবের নাগালের বাইরে।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) জামালপুর সদরের ২০০ বছরের উপরে ঐতিহ্যবাহী নান্দিনা বাজারে সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে এখানে  প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়।

শুকনো মরিচ ২৪০ টাকা, আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৫৫-৬০-৭০ টাকা, পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১২০ টাকায়, বেগুন ১০০ টাকা কেজি, পটল ১০০টাকা, বেন্ডি বা দেঁড়শ ১২০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, ঝিংগা ৮০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, মুখি ৭০ টাকা কেজি, আদা ১৮০-২০০ টাকা।

এতদিন মিষ্টি লাউ পিচ হিসেবে বিক্রি হলেও গত কয়েকদিন ধরে বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে। নান্দিনা বাজারে প্রতি কেজি মিষ্টি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। পাট শাক, মুলা শাক, ডাটা শাকসহ বেড়েছে সব ধরনের শাক সবজির দাম।

এদিকে চাল,ডাল, আটা, ময়দার দাম স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। সয়াবিন তেল প্রতি কেজি বা লিটারে বেড়েছে ১০ টাকা। বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৭০০ টাকা। ছাগলের মাংস ৮০০ টাকা। বয়লার মুরগি প্রতিকেজি ১৮০ টাকা। লাল কক মুরগি ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগী প্রকি কেজি ৬০০। বেড়েছে সব ধরনের মাছের দাম।

বড় সাইজের রুই, কাতলা, মৃগেল মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়, ছোট মাঝারি আকারের ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা, ছোট আকারের রুই, কাতলা, মৃগেল, গ্লাসকাপ, সিলভার কাপ, মিনার কাপ, তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে আড়াই থেকে ৩০০ টাকায়। শিং, মাগুর বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়। এছাড়াও পাবদা, টেংরা, চিংড়ীসহ অন্যান্য ছোট জাতের মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে। গরিবরা ইলিশ মাছের ধারের কাছেই যেতে পারছে না।

বাজার করতে আসা মর্জিনা বেগম ও সেলিমা খাতুন জানান-আমাদের মতো গরীব মানুষের বাজার করে খাওয়ার দিন প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছে। সব কিছুর দাম বেশি। কি হবে জানিনা?

রিকশা চালক হেকমত আলী জানান-সারাদিন রিকশা চালিয়ে ৩-৪শ’ টাকা পাই। কিন্তু ব্যাগ নিয়ে বাজারে গেলে ওই টাকায় বাজার হয়না। খুব অসুবিধায় আছি আমরা।

খুচরা ব্যবসায়ী ফটিক মিয়া জানান, গত কিছুদিন ধরেই সব কিছুর দাম বাড়ছে। আমরা পাইকারী দরে বেশি দামে কিনে বেশি দামেই বিক্রি করছি। কিছু করার নাই। তিনি জানান, বন্যা ও অতি বৃষ্টিতে সবজিসহ অন্যান্য ফসলের ক্ষতি হওয়ায় দাম বেশি। তবে আগামী দুই মাস পর আমদানি বাড়লে শাক সবজির দাম কমবে বলে জানান তিনি।

এ অবস্থায় সকল শ্রেণীর ক্রেতারা জরুরি ভিত্তিতে বাজার মনিটরিং করার জন্য জেলা প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker