গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা পল্লীবিদ্যুত এলাকায় লিবার্টি নীট ওয়্যার লিমিটেড কারখানায় শ্রমিক মারধোরের ঘটনায় ওই কারখানার জিএম দিল মোহাম্মদকে চাকরি থেকে অব্যহতি ও চার কর্মকতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় শনিবার সকালে শ্রমিকরা দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেন। এসময় শ্রমিকরা ৯ দফা দাবি জানায়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসলে কারখানা কতৃপক্ষের সাথে শ্রমিক প্রতিনিধি নিয়ে কথা বলে আইনঙ্খলা বাহিনী। এসময় শ্রমিকদের সকল দাবি দাওয়া মেনে নিয়ে কারখানার পাচ কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অব্যহতি দেয় কারখানা কতৃপক্ষ।
এদের মধ্যে চার কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ জেল হাজতে পাঠায়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কারখানার এজিএম সানাউল হক সানোয়ার (৩৮), ফ্লোর ইনর্চাজ নাজমুল করিম (২৩),মিজানুর রহমান (২৯) ও পারভেজ আহমেদ (৩৫)।
শুক্রবার রাতেই শাহ আলম বাদি হয়ে কালিয়াকৈর থানায় অভিযোগ দায়ের করলে সেই অভিযাগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
কারখানা কতৃপক্ষ ও পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার দুপুরে বিরতির পর কাজে যোগ দিতে ১২ মিনিট লেট করেন আয়রন ম্যান শাহ-আলম। এসময় সানোয়ারসহ চারজনে মিলে তাকে বেদরক মারধোর করেন।
এ ঘটনা কারখানার অন্যান্য শ্রমিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পরলে শ্রমিকরা পল্লীবিদ্যুৎ টু বাড়ইপাড়া আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে রাত ৮টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন। এসময় ১১ কর্মকর্তার পদত্যাগ দাবি করেন শ্রমকিরা। সেদিনের মতো কোন সারা না পেয়ে ফের শনিবার সকালে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করেন পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে শ্রমকিরা সড়ক থেকে সড়ে গিয়ে কারখানার সামনে অবস্থান নেয়। পরে বেলা ১ টার দিকে কারখানা কতৃপক্ষ শ্রমিকদের সকল দাবি দাওয়া মেনে নিলে শ্রমকিরা বাড়ি চলে যায়। শ্রমিক বিক্ষোভের শুক্রবার রাতেই ঘটনায় শ্রনিবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেন কতৃপক্ষ।
কালিয়াকৈর থানার ওসি রিয়াদ মাহমুদ বলেন, শনিবার সকালে শ্রমকিরা ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করলে তাদেরকে বুঝিয়ে দেয়া হয় পরে কারখানা কতৃপক্ষের সাথে কথা বললে তারা শ্রমিকদের সকল দাবি মেনে নেয়। মারধোরের অভিযোগে ৪ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে শনিবার দুপুরে গাজীপুর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে ।