গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার রতনপুর এলাকায় স্ত্রী ও শাশুড়ির গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় স্বামী। ওই ঘটনায় স্ত্রী ও শাশুড়িকে দগ্ধ অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ত্রী মোর্শেদা বেগমের(২২) মৃত্যু হয়।
বৃহস্পৃতিবার রাতে মৃত্যুবরণ করেন শাশুড়ি ফুলজান বেগম (৪০)। নিহত মোর্শেদা বেগম (২২) নাটোর জেলার সদর থানার লক্ষীপুরা এলাকার মুকুল আলীর মেয়ে। উপজেলার রতনপুর এলাকায় পারভেজের ভাড়া বাড়িতে স্ত্রী-শ্বাশুড়ির শরীরে আগুন দিয়ে ঘরের বাহির থেকে দরজা লাগিয়ে পালিয়ে যায় স্বামী।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, তানভীর আহাম্মেদের সঙ্গে গত ৫ বছর আগে নাটোর সদরের লক্ষীপুরা এলাকার মুকুল আলীর মেয়ে মোর্শেদা বেগমের বিয়ে হয়। মা ফুলজান বেগম একটি পোষাক কারখানায় কাজ করতেন। তার কাজের কারনে মা-মেয়ে উপজেলার রতনপুর এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। পারিবারিক কলেহের জের ধরে কয়েক মাস ধরে স্বামী তাদের সঙ্গে থাকেন না।
তালাকের খবর পেয়ে তানভীর গত বুধবার রাতে ওই বাড়িতে গিয়ে ঘরের জানালা দিয়ে ঘুমন্ত স্ত্রী ও শাশুড়ির গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময়ে তারা যাতে ঘর থেকে বের হতে না পারে সেজন্য ঘরের বাহির থেকে দরাজা লাগিয়ে পালিয়ে যায়। এসময়ে তাদের আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোর্শেদা বেগমকে মৃত ঘোষনা করেন। ফুলজান বেগমকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাতে তিনিও মারা যান।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ বলেন, আগুনে দ্বগ্ধ হয়ে বৃহস্পতিবার সকালে মোর্শেদা বেগম ও রাত ৮টায় একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মা ফুলজান বেগম মারা যান।
প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধরে ওই ঘটনাটি ঘটেছে। স্বামী তার স্ত্রী ও শাশুড়ির গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পালিয়ে গেছে।