উত্তর বঙ্গের প্রবেশদ্বার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার উপর দিয়ে গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা, পলাশবাড়ি, দিনাজপুর, ঘোড়াঘাট, হিলী থেকে প্রতিদিন অসংখ লোকাল বাস বগুড়া যাতায়াত করে। এর অর্ধেক বাস সিএনজি চালিত হলেও বারতি ভাড়া আদায় করছে ডিজেল/সিএনজি চালিত সব বাস থেকে। তাও আবার জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা বৃদ্ধি পেলেও ভাড়া নিচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ।
১৭ নভেম্বর ২১ তারিখ বুধবার গোবিন্দগঞ্জ চারমাথা বাস স্ট্যান্ডে বগুড়াগামী এক যাত্রীর সাথে কথা বলে জানা যায়, কিছু দিন আগেও গোবিন্দগঞ্জ থেকে বগুড়া চারমাথা বাস স্ট্যান্ডের ভাড়া ছিলো ৩০ টাকা। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার অজুহাতে এখন সেই ভাড়া নিচ্ছে ৫০ টাকা অথচ প্রায় গাড়ি’ই গ্যাস চালিত।
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির খবরে ভাড়া বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিবহন মালিক-শ্রমিক শুরু করে আন্দোলন। দুইদিন পর এক পর্যায়ে ভাড়া বৃদ্ধির দাবি মেনে নেয় সরকার কিন্তু শর্ত থাকে শুধু ডিজেল চালিত পরিবহনে ভাড়া বাড়বে, সিএনজি চালিতোতে নয়। এর পরে সারা বাংলাদেশেই সকল পরিবহনে সমান ভাবে ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে ব্যাপক লেখালেখি হলে, রাজধানীতে অভিযান শুরু হয়, শুরু হয় জরিমানাও।
দুঃখের বিষয় জেলা-উপজেলা পর্যায়ে অভিযান বা মনিটরিং না থাকায় নিম্ন ও মধ্য আয়ের যাত্রীরা পরিবহন সেক্টরের কাছে জিম্মি। যে সকল যাত্রী নিত্ত নৈমিত্তিক কাজে নিয়মিত গোবিন্দগঞ্জ থেকে বগুড়া অথবা পলাশবাড়ী-গাইবান্ধা যাতায়াত করে তাদের দাবি। যেহেতু গোবিন্দগঞ্জ এর উপর দিয়ে উত্তরবঙ্গের সমস্ত যানবাহন চলাচল করে আর গোবিন্দগঞ্জ চারমাথায় একটি ট্রাফিক বক্স আছে। তাই এখানে তল্লাশি করে ডিজেল ও সিএনজি চালিত বাস চিহ্নিত করে, বাসের ভাড়া সমন্বয় করলে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের যাত্রীরা পরিবহন সেক্টরের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হয়ে স্বস্তিতে যাতায়াত করতে পারবে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.