গত এক বছরে দেশে সাইবার অপরাধের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়েছে। এই সময়ের মধ্যে মোট অপরাধের ১১ দশমিক ৮৫ শতাংশই হয়েছে সাইবার জগতে। সাইবার অপরাধে আক্রান্তদের মধ্যে শতকরা ৫৯ ভাগই নারী।
শনিবার (২৯ জুন) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ২০২৪ সালের সাইবার অপরাধ প্রবণতা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন। সেই প্রতিবেদনে উঠে আসে এমন তথ্য।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গতবছর ২৮ হাজারেরও বেশি ভুক্তভোগী সাইবার অপরাধের শিকার হয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে। এসব ভুক্তভোগীদের মধ্যে মাত্র ৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ মামলা করেছে। তবে প্রকৃত অপরাধের সংখ্যা আরও অনেক বেশি।
বাংলাদেশ উইমেন ইন টেকনোলজি’র কোষাধ্যক্ষ ব্যারিস্টার নাজমুস সালিহিন বলেন, সাইবার ক্রাইম করা খুব সহজ এবং অপরাধীকে সহজে খুঁজে পাওয়া যায় না। কারণ অপরাধে ব্যবহৃত ল্যাপটপ বা মোবাইল অপরাধীই ওই সময় ব্যবহার করছিলো এটি প্রমাণ করা বেশ জটিল। তাছাড়া, সাইবার আইনে অনলাইন জুয়ার মামলাগুলোর পেছনে মানি লন্ডারিং রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, আলামত জব্দের পর যথাযথভাবে সংরক্ষণ করে অবিকল আদালতে উপস্থাপন করা গেলে, এসব অপরাধের বিচার পাওয়া সম্ভব।
এই খাতে বাজেট বরাদ্দ প্রসঙ্গে বিশ্ব ব্যাংকের কনসালটেন্ট হুসেইন সামাদ বলেন, তথ্য প্রযুক্তি খাতের বাজেট থেকে সাইবার সিকিউরিটি খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়। এটি চলতে থাকলে সাইবার সিকিউরিটিতে কাঙ্খিত উন্নতি সম্ভব নয়।
এ সময় সাইবার অপরাধ থেকে বাঁচতে ব্যক্তি সচেতনতা বাড়ানোর ওপরে গুরুত্ব দিয়ে বিটিআরসির মহাপরিচালক জানান, সাইবার অপরাধের ৭০ শতাংশই ব্যক্তিপর্যায়ে হয় থাকে।
বিটিআরসির মহাপরিচালক কাজী মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেকে লোভে পড়ে সাইবার অপরাধের শিকার হয়। এসব লোভনীয় অফার সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৩ সালের মোট সাইবার অপরাধের শতকরা সাড়ে এগারোভাগই পর্নোগ্রাফি বিষয়ক ক্রাইম।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts sent to your email.