৪র্থ ধাপের ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় উপজেলার ১৬ নং মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নে বিজয়ী প্রার্থীকে ফুলের মালা দেয়ার অপরাধে দরিদ্র পরিবারের এক স্কুল শিক্ষার্থীকে বাড়িতে ধরে নিয়ে গিয়ে বেদম মারপিট করেছে পরাজিত এক মেম্বার প্রার্থী।
একই সময় স্কুল শিক্ষার্থীর প্রতিবেশী ভ্যানচালক আরেক যুবককেও তাকে ভোট না দেয়ার অভিযোগ তুলে বেঁধে রেখে নৃশংসভাবে মারপিট করে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী।
গোবিন্দগঞ্জ থানার পুলিশ আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে। সোমবার রাত ১০টার দিকে মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের জিরাই-পান্থামারী এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে বলে এলাকার লোকজন জানিয়েছেন।
ভূক্তভোগী, তাদের স্বজন ও এলাকার লোকজন জানিয়েছেন, পান্থামারী গ্রামের গরীব ভ্যানচালক আনন্দ চন্দ্র প্রধানের ছেলে স্বপন চন্দ্র প্রধান (২৫) ও বাবলু চন্দ্র প্রধানের ছেলে নবম শ্রেণির ছাত্র উৎপল চন্দ্র প্রধান (১৫) সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে মহিমাগঞ্জ থেকে ভ্যান রিক্সা চালিয়ে পান্থামারী গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে জিরাই এলাকায় গেলে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী ও বর্তমান মেম্বার রবিউল ইসলাম খাজা ও তার লোকজন কিশোর উৎপলকে বিজয়ী মেম্বার প্রার্থী শাহীনের গলায় ফুলের মালা পরিয়ে দেয়ার অভিযোগে আটকে মারপিট শুরু করে।
এ সময় উৎপলের প্রতিবেশী স্বপনকেও আটক করে দড়ি দিয়ে বেঁধে বর্তমান মেম্বার রবিউল ইসলাম খাজার বাড়িতে আটকে রেখে মারপিট শুরু করে। এ সময় তারা মারাত্মক আহত হলে এলাকার লোকজন পুলিশে খবর দেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ এসে আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে নিয়ে গিয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করে। তারা বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে সংবাদকর্মিরা আহত দুইজনের সাথে কথা বললে তারা দুজন এ সব অভিযোগ করেন।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ভূক্তভোগীদের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।