গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চাপাইর বড় গোবিন্দপুর এলাকায় বৃহস্পতিবার ভোরে স্বামীর হাতে থাকা কুড়ালের আঘাতে আকলিমা বেগম (৩৫) নামের গৃহবধু নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ঘাতক স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত ওই গৃহবধু হলেন উপজেলার চাপাইর ইউনিয়নের বড় গোবিন্দপুর গ্রামের আফাজ উদ্দিনের মেয়ে।
আটককৃত ঘাতক স্বামী হলেন, একই এলাকার মৃত মোঘর আলীর ছেলে বাবুল হোসেন (৪০)।
স্থানীয়রা নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানায়, ১৫ বছর আগে ফুফাতো ভাই আবুল হোসেনের সাথে পারিবারিক ভাবে আকলিমার বিয়ে হয়।বিয়ের পরেই সাবেক স্বামী আবুল বিদেশ চলে গেলে দেবর বাবুলের সাথে প্রেম করে। পরে আগের স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে দেবর বাবুলকে বিয়ে করে। বাবুল ও আকলিমার ঘরে আতিকুর রহমান (৭) ও আনিসা (৬ মাস) বয়সি দুইটি সন্তান রয়েছে।
দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকেই তাদের সংসারে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো এদিকে বাবুল কিছুটা উগ্র মেজাজ ধরনের যুবক ছিলেন। বাবুল মাছের খামারের ব্যবসা করতেন। মাছ চুরির ভয়ে রাতে ওই মাছের খামারেই ঘুমাতেন বাবুল। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার রাতে খাবার খেয়ে মাছের খামারে চলে যান এদিকে ভোর চারটার দিকে বাবুল বাসায় এসে ঘরের দরজা খুলা দেখে স্ত্রীর সাথে তর্কে জড়িয়ে পরেন। তর্কের এক পর্যায়ে খাটের নিচে থাকা কুড়াল দিয়ে আকলিমার মাথায় এলোপাতারি আঘাত করেন।
এ সময় ঘটনাস্থলেই আকলিমা নিহত হন। পরে ঘাতক বাবুল নিহত স্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের ফোন করে জানান আকলিমা স্টোক করে মারা গেছেন। পরে আকলিমার স্বজনরা বাড়িতে এসে দেখেন লাশ বারান্দায় পড়ে আছে। এ সময় বাবুল বুজাতে চেষ্টা করে টিউবয়েলের পাশে পরে গিয়ে মাথা ফেটে গেছে।
এ সময় পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হলে ঘরের ভিতরে গিয়ে দেখেন খাটের নিচে রক্তমাখা কুড়াল ও জামাকাপর। এ সময় বাবুল হোসেন পালিয়ে যাবার চেষ্টা করলে। স্বাজনরা বাবুলকে বেধে রেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় কালিয়াকৈর থানা পুলিশ। ও ঘাতক স্বামীকে আটক করে।
কালিয়াকৈর থানার এসআই আব্দুর রাজ্জাক বলেন, স্বামীকে আটক করা হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াদিন।