কালিয়াকৈর

আল আমিন হত্যাকান্ডের মাস পেরিয়ে গেলেও গ্রেফতার হয়নি আসামীরা ,ফের গ্রেফতারের দাবিতে মানবন্ধন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারী কলেজের দ্বাদশ শ্রেনী শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিন হত্যাকান্ডের ঘটনায় ১ মাস পেড়িয়ে গেলেও হত্যাকান্ডের মূল হোতা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমন খান সহ বাকি আসামীদের গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষুভ ও হতাস প্রকাশ করেছেন নিহতের স্বজনরা ও এলাকাবাসী।

এদিকে হত্যাকান্ডের সাথে জরিতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে কয়েকবার মানববন্ধন করেন নিহত আল আমিনের স্বজনরা,গ্রামবাসী ও বঙ্গবন্ধু কলেজের শিক্ষার্থীরা। তবে এ মানবন্ধনের পর আসামীরা গ্রেফতার না হওয়ার নিহতের স্বজনরা ও গ্রামবাসী মিলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এ্যাড.আকম মোজাম্মেল হক এমপির কাছে দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার করে শাস্তীর দাবী জানান।মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী দ্রুত আল আমিনের হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা হবে বলে আশ্বাস দেন।

এদিকে এ ঘটনার সাথে জড়িত মিলন হোসেন নামের একজন কে গ্রেফতার করে পুলিশ ।কি ১ মাস ৭ দিন পেড়িয়ে গেলেও কেও বাকী আসামীদের গ্রেফতার না হওয়ায় ফের শুক্রবার (১২ জুলাই)সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা আল আমিনের হত্যাকারীদের দ্রæত গ্রেফতারের দাবিতে মানবন্ধন করেছেন নিহতের স্বজনেরা ও এলাকাবাসী। এসময় মানববন্ধনে বক্তব্যে নিহতের পিতা মোতালেব হোসেন বলেন আমার একমাত্র ছেলের হত্যাকারীরা কেও গ্রেফতার হয়নি এক মাস পার হয়ে গেলো।

প্রশাসন চাইালে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই আসামীদের গ্রেফতার করতে পারে ।আমরা মুক্তিযুদ্ধ মুন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলাম তিনি আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুত ঘটনার সাথে জরিত আসামীরা গ্রেফতার করা হবে। কিন্তু এখনো পলাতক আসামীরা গ্রেফতার হয়নি। তিনি এসময় আরো বলেন মাননীয় প্রধান মুন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দুই পায়ে ধরে আল আমিনের হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে ফাঁসির আবেদন জানান নিহতের পিতা মোতালেব হোসেন। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন নিহতের মাতা আছিয়া বেগম.দাদী মহরাম বেগম,ফুপু রোজিনা আক্তার, ও স্থানীয় শ্রমীকলীগ নেতা শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।

উল্লেখ গত ৫ জুন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারী কলেজের এইচএসসি শিক্ষার্থীদের র‌্যাগ ডে অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রæপের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ জুন সকালে প্রকাশে উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে ডাইনকিনি সড়কের ঢালে একটি মার্কেটের সামনে দিবালোকে প্রকাশ্যে আল আমিনকে কুপিয়ে হত্যাকরে ইমন সহ তার দলের কর্মীরা এসময় আহত হয় আল আমিনের সহযোগী কামরুল হাসান রবিন। পরে দুজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে সেখানকার র্কতব্যরত চিকিৎসক আল আমিনকে মৃত ঘোসনা করেন। এ ঘটনার দিন রাতেই ইমনকে প্রধান ও ১৮ জনের বিরুদ্ধে কালিয়াকৈর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের পিতা মোতালেব হোসেন। এ ঘটনার তিনদিন পর মিলন নামের একজন গ্রেফতার হলেও বাকী ১৭ আসামী ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন ।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker