কালিয়াকৈর(গাজীপুর)প্রতিনিধি:
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর বাজারে মাংস বাজারে গত শুক্রবার ভোরে গর্ভবতী ছাগল জবাই করার অভিযোগ পাওয গেছে। ধসঢ়; ঘটনায় বিষয়টি এতোদিন চাপা থাকলেও কোন এক ব্যাক্তি গোপনে মোবাইল ফোনে ঘটনার ভিডিওটি ধারন করার পর বুধবার (২২ নভেম্বর) সকালে ফেসবুকে সেই গর্ভবতী ছাগল জবাইয়ের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সবার নজরে আসে। এ নিয়ে স্থানীয় সুশিল সমাজের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সরজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার সফিপুর এলাকায় বাছেদ নামের এক মাংস ব্যবসায়ী গর্ভবতী ছাগল জবাই করে মাংশ বিক্রি করেছেন। ভিডিওটিতে আরো দেখা যায় একটি ছাগলের বাচ্ছা রয়েছে। এদিকে এর আগেও শিয়াল জবাই করে মাংস বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে ঐ ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। এছাড়াও গোপনে ধারাবাহিক ভাবে বিভিন্ন অস্থ পশু জবাই করে মাংস বিক্রি করে আসছেন।
গর্ভবতী জবাইয়ের পর ছাগলের বাচ্চা সহ শরীরের বিভিন্ন অংশ একটি বালতিতে রাখা হলে। পরে ওই বালতি কুকুর ফেলে দিলে ভিতরে গর্ভবতী ছাগলের বাচ্চা দেখতে পাই মাংস ক্রেতারা। পরে ওই মাংস বিক্রিতার সাথে তর্ক বিতর্কে এক পর্যায়ে অবস্থা বেগতিক দেখে মাংশের দোকান বন্ধ করে চলে যায় ঐ ব্যাক্তি। এর আগেও শিয়ালের মাংস বিক্রি করার অভিযোগে উপজেলা প্রশাসন তাকে দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বাছেদ জানান, আমি জবাই করিনি ছেলে জবাই করেছে। আর দশটা ছাগলের মাঝে দু-একটা অসুস্থ থাকতেই পারে।
সফিপুর বাজার ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি মো.আতাউর রহমান জয় জানান, আমরা শোনার পর দোকানটি বন্ধ করে দিয়েছি। তবে তার বিরুদ্ধে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহন করবো। তাছাড়াবিষটি মাংস ব্যবসায়ীদের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা লুৎফর রহমান জানান, যেকোনো অসুস্থ প্রানীর মাংস খাওয়া মানবদেহের জন্য জন্য ক্ষতিকর। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপী ইবনে সাজ্জাদ বলেন,বিষয়টি জানার পর ইতিমধ্যে আমরা দোকানটি বন্ধ করে দিয়েছি। তিনি যদি দোকানটি আবার খুলেন তাহলে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে