চতুর্থ দিনের মতো মহাসড়ক অবরোধ পুলিশ শ্রমিক দফায় দফায় বিক্ষোভ গাড়িতে অগ্নি সংযোগ পুলিশ সহ আহত ২০
পুনম শাহরীয়ার ঋতু,গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে চতুর্থ দিনের মতো ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে বৃহস্পতিবার(২৬ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে আসে পাশের বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে গাড়ি ভাংচুর ও গাড়িতে অগ্নি সংযোগ সহ কারখানা ভাংচুর ও বিক্ষোভ করছেম শ্রমিকরা।
এদিকে পুলিশ ও শ্রমিকদের মাঝে দাওয়া পালটা দাওয়ার ঘটনাঘটে। এসময় পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল ছুড়ে বিক্ষোপ্ত শ্রমিকরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ টিয়ারসেল ও কাদানি গ্যাস ও লাাঠি চার্য করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করলে শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাংচুর ও মহাসড়কের দুই পাশে আগুন দড়িয়ে দেয় ।এসময় একটি বিলাশ বহুল পাজারো গাড়িতেও অগ্নি সংযোগ করে শ্রমিকরা ।এসময় স্থানীয় একটি মার্কেট ভাংচুর করে শ্রমিকরা। পুলিশ ও শ্রমিকদের দফায় দফায় সংর্ঘষে পুলিশ সহ আহত হয় অত্যন্ত ২০জন।এ সময় সড়কের কোনাবাড়ী থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত দির্ঘ ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। শ্রমিক, পুলিশ এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, গত সোমবার থেকে বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা বেতন ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধসহ বিক্ষোভ কর্মসুচী পালন কওে আসছে। ভাংচুর করছে কারখানাসহ সড়কে চলাচলরত যানবাহন।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শ্রমিকরা মহাসড়কের মৌচাক,দোকানপার, আনসার একাডেমী ৩ নং গেইট, পল্লীবিদ্যুত, সফিপুর বাজার এলাকায় ইবনে সিনা ফার্মানিটিক্যাল কারখানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করে। একপর্যায়ে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এবং এবং পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় একটি গাড়িতে অগ্নি সংযোগ করেন। এতে সড়কের চন্দ্রা থেকে কোনাবাড়ী পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করে।এসময় কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে শ্রমিকরা অতর্কিতভাবে পুলিশের উপর হামলা করে এতে কালিয়াকৈর থানার ওসি সহ ৮জন আহত হয়।ব্যার্থ হয়ে পুলিশ কাঁদানি গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিচার্জ করলে শ্রমিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
কালিয়াকৈর থানার (ওসি) আকবর আলী খান জানান, আমরা শ্রমিকদের এক ঘন্টা বোঝানোর পরও তারা রাস্তা থেকে সরে না গিয়ে উল্টো আমাদের উপর হামলা চালায় এতে আমি সহ আমার থানার ৮ জন আহত হই। পরে শ্রমিকদের ছত্র ভঙ্গ করতে টিয়ারসেল মারলে শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে যায় এতে যান চলাচল স্বাভাবিক হয় ।