গাজীপুরের কালিয়াকৈরে স্বামীর নির্যাতনের শিকার নার্গিস আক্তার নামের স্কুল শিক্ষিকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নির্যাতিতা ঐ নার্গিস আক্তার উপজেলার নামাসুলাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।
জানা গেছে, প্রায় আড়াই বছর আগে উপজেলার লতিফপুর গ্রামের ছানোয়ার হোসেনের ছেলে পারভেজ রানার সঙ্গে একই উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের বিল্লাল হোসেনের মেয়ে নার্গিস আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের এক বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। তবে বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই স্বামী পারভেজ রানা স্ত্রী নার্গিস আক্তারের কাছে প্রায় ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছে। যৌতুক না দেওয়ায় নার্গিসের স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন মিলে বিভিন্ন সময় তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত।
এদিকে এক পর্যায়ে শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে স্কুলে যাওয়ার সময় স্বামী পারভেজ রানা তার স্ত্রী নার্গিসের কাছে প্রায় ২ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য চাপ দেয়। এ সময় নার্গিস তার বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক এনে দিতে অস্বীকার করলে ঘরের দরজা বন্ধ করে স্বামী পারভেজ, শ্বশুর-শাশুড়ি ও ননদ মিলে তাকে এলোপাতাড়ি নির্যাতন করে ঘরবন্দি করে রাখে। পরে সংবাদ পেয়ে আশপাশের স্কুলের শিক্ষকরা ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আহত শিক্ষিকা নার্গিস আক্তার ও তার সহকর্মীরা জানান, স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির চাহিদা মতো টাকা না দেওয়ায় তাকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করে। শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতেও ঘরের ভেতর আটকে তাকে পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়।
কালিয়াকৈর থানার ডিউটি অফিসার (এসআই) মোহাম্মদ আলাউদ্দিন জানান, এ ঘটনায় নির্যাতিতা শিক্ষিকা নার্গিস আক্তার বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার রমিতা ইসলাম জানান, ভুক্তভোগী শিক্ষিকাকে নির্যাতনের পর আটকে রাখার খবর পেয়ে শিক্ষকদের সেখানে পাঠানো হয়। শিক্ষকরা ভুক্তভোগী শিক্ষিকার স্বামীর বাড়িতে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।