কালিয়াকৈর পৌরসভার নির্বাচনে ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদ প্রার্থী মেহেদী হাসান (ডালিম প্রতিক) নিখোঁজর ৫ দিন পর গাজীপুর মহানগরীর যুগিতলা ধান গবেষনা এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ। এর আগে ২৫ শে নভেম্বর ভোরে মসজিদে ফজরের নামাজ পরতে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি।
এদিকে বাসায় ফিরে না আসায় বিভিন্ন জায়গায় খুঁজাখুজি করে না পেয়ে নিখোঁজের পিতা বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার সকালে ৯টার দিকে মহানগরীর যুগিতলা থেকে কালিয়াকৈর থানা মৌচাক ফাঁড়ি পুলিশের উপ পরিদর্শক হাসান ও এসআই আসাদের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর থানায় নিয়ে আসে।
এদিকে কোথাও সন্ধ্যান না পেয়ে পুলিশ ও ডিবি বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। পরে মেহেদী হাসানের মোবাইল বন্ধ থাকায় পরে প্রযুক্তির ব্যবহার করে মোবাইল ফোন ট্রেগ করে তাকে উদ্ধার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায় নিখোঁজের ৩ দিন পর রাত তিনটার দিকে মেহেদী হাসান তার ব্যবহারকৃত ফেসবুক থেকে স্ট্যাটাস দেয় “আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ আছি”। পরে এই স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এলাকায় ফেসবুকে জনগণের মাঝে বেপক সাড়া পড়ে। সেই স্ট্যাটাসের সূত্র ধরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
নিখোঁজের ঘটনায় গত ২৭ নভেম্বর রাতে মেহেদী হাসানের সমর্থকরা সন্ধ্যানের দাবিতে থানা ঘেরাও করে।
উদ্ধার মেহেদী হাসান জানান, আমি আমার পরিবার ও সন্তানদের বাঁচাতেই আত্ম গোপনে চলে যাই। প্রায় সময় আমার প্রতিদ্বন্দ্বীরা আমাকে হুমকি প্রদান করতো ও আমার সন্তানদের স্কুলে যাওয়া আসার পথেই বাঁদা দিতো। পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবেই আত্ম গোপনে চলে যাই।
কালিয়াকৈরে থানার ইনচার্জ মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, নিখোঁজের পর থেকেই তাকে উদ্ধার করতে আমরা ব্যপক তৎরতা চালাই। পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে জানতে পারি, সে মহানগরীর যুগিতলায় আছে। সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়। পরে সে জিজ্ঞাসাবাদে আত্নগোপনের কথা শিকার করে।