কালিয়াকৈরে প্রবাসী নাড়ির বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ি-ঘর ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। হামলায় শিশুসহ চার নারী আহত হয়েছে। লুট করা হয়েছে টাকা, স্বণার্লংকারসহ বিভিন্ন মালামাল।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার জালশুকা এলাকায় শুক্রবার সকালে এ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। দীর্ঘদিন আগে ওই এলাকার আব্দুল বারেকের স্ত্রী সৌদি আরব প্রবাসী নারী জাহানারা বেগম তার পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে ৬ শতাংশ পাওয়া জমিতে ঘর-বাড়ি নিমার্ণ করেন। এরপর তিনি বিদেশে চলে গেলে অবৈধভাবে জমি দখলের উদ্দেশ্যে ওই ঘর-বাড়ি ভাংচুর করে বিবাদীরা। আবার বিদেশে থেকে ফিরে ওই জমিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে ফের ঘর-বাড়ি নিমার্ণ করছিলেন। কিন্তু শুক্রবার সকালে নিমার্ণ কাজ চলমান অবস্থায় বিবাদী ইব্রাহিম হোসেন, সামছুল আলম, নাসির উদ্দিন, আজাহার হোসেন, আমিনুল ইসলাম, হুমায়ুন হোসেন, শাহীন, আব্দুল হকসহ ১৬/১৭ জন লোক সেখানে হামলা চালায়। হামলা চালিয়ে তারা দুটি ঘর, খুটি, ও ঘরের ভিতরে থাকা আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এসময় তারা এলোপাথারিভাবে জাহানারা বেগম, মনোয়ারা বেগম ও রেহেনা আক্তারকে আহত করে। লুট করে নেওয়া হয়েছে স্বর্ণালংকার, টিন কেনার টাকাসহ প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকার মালামাল। হামলা ও ভাংচুরে প্রায় ৩ লাখ টাকা ক্ষতি সাধন করে। পরে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসা দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়ে বাড়িতে গেলে ওই বিবাধীরা ওই প্রবাসীর শিশু ছেলে তামিমকে পিটিয়ে আহত করে।
হামলার শিকার জাহানারা বেগম বলেন, বিদেশ থেকে এসে পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে জমির মালিক হয়ে ঘর-বাড়ি নিমার্ণ করতেছি। কিন্তু বিবাদীরা অবৈধভাবে ওই জমি দখলের জন্য হামলা চালিয়ে ঘর-বাড়ি ভাংচুর ও লুট করে। এ সময় আমাকে ও আমার ছেলেসহ আরো দুইজন নারীকে পিটিয়ে আহত করে। এছাড়া স্বণার্লংকার লুট ও ভাংচুরসহ প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কালিয়াকৈর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হাসান আল মামুন জানান, ঘর-বাড়ি ভাংচুরের ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে।