কালিয়াকৈর

কালিয়াকৈরে কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগ,ধর্ষণকারী পলাতক

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মাটিকাটা গ্রামীন মাঠ এলাকায় ১৪ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক বখাটের বিরুদ্ধে। গত ২৮ এপ্রিল রাতের সাড়ে নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ওই কিশোরীকে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন এলাকাবাসী।

এ ঘটনায় পহেলা রাতে চারজনের নাম উল্লেখ করে কালিয়াকৈর থানায় ধর্ষন মামলা করেছেন ওই কিশোরীর পিতা। অভিযুক্তরা হলেন গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তরফ মন্ডল গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে সিফাত মিয়া(২৩) ও ধর্ষনের সহায়তাকারীরা হলেন মাটিকাটা এলাকার লাবু মিয়া(২৩),আবু সাইদ(২২) ও নাহিদ ইসলাম(২৩)। এ ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছেন ।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্র জানায় ধর্ষনের শিকার ওই কিশোরী তার বাবা মার সাথে মাটিকাটা গ্রামীন মাঠ এলাকার আজমির হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন তার মা স্থানীয় পোষাক কারখানার শ্রমিক বাবা অটোরিকসা চালিয়ে জীবীকা নির্বাহ করেন। একই এলাকার সোহেল মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া সিফাত প্রায়ই ওই কিশোরীকে আসা যাওয়ার পথে উত্তক্ত করতেন।

এর সুবাধে গত ২৪ এপ্রিল রাতের সাড়ে নয়টার দিকে কিশোরীর বাবা মা কাজের তাগিদে বাহিরে থাকার সুবাধে ঘরের দরজা খুলে ওই কিশোরীর মুখ চেপে ধরে প্রথম বার ধর্ষণ করেন। এর পর কাউকে বিষয়টি না বলতে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান। কিশোরী ভয়ে কাউকে বিষয়টি না জানালে। গত ২৮ এপ্রিল রাতের নয়টার দিকে ওই কিশোরী বাড়ির পাশে একটি দোকানে যান ছোট ভাইয়ের জন্য খাবার কিনতে।

এদিকে দোকান থেকে বাসায় ফেরার পথে আগে থেকে উৎপেতে থাকা বখাটে সিফাত ও তার তিন বন্ধু নাহিদ, লাবু,ও আবু সাইদসহ চারজনে মিলে কিশোরীর পথ আগলে ধরে মুখ চেপে পাশের একটি এডমিনাল সিকদারের পরিত্যাক্ত গরুর ফার্মে নিয়ে সিফাত আবার ধর্ষন করেন। এসময় ধর্ষণকারীর সহযোগী হিসেবে সাথে থাকা তিন বন্ধু বাহিরে থেকে পাহাড়া দেয়।

পরে কিশোরী বাসায় ফিরে আসলে প্রচার রক্তক্ষরণ হয়। এ ঘটনার একদিন পর কিশোরী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তার মা জিজ্ঞাসার এক পর্যায়ে ধর্ষনের কথা মাকে জানায় কিশোরী। এদিকে কিশোরীর অবস্থা আরো গুরুতর হওয়ায় কিশোরীকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখান থেকে গাজীপুর সদর হাসপতালে রের্পাট করলে সেখানে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে কিশোরী গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নারী শিশু পরিচর্যা স্পেশাল ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন। 

এদিকে ওই বখাটে সিফাত ও তার বন্ধুদের বিরুদ্ধে এলাকায় একাদিক অভিযোগ রয়েছে। কিশোরীর পিতা শাকিল শেখ জানান আমার মেয়েটি গ্রামের বাড়িতে থাকতো গত জানুয়ারী মাসে আবার বাবা মারা যায়। গ্রামের বাড়িতে কেও না থাকায় আমার মেয়েটিকে এখানে নিয়ে আসি। আমরা কাজের তাগিদে স্বামী স্ত্রী দুজনেই বাহিরে থাকি।

এর ফাকে সিফাত আমার মেয়ের এ সর্বনাশ করেছে। আমরা সমাজে মুখ দেখাবো কেমনে। আমি আমার মেয়ের ধর্ষনকারীর বিচার চাই। এর আগেও ওই ছেলেটিকে নিয়ে এলাকায় বিচার শালিস হয়েছে। কালিয়াকৈর থানার ওসি রিয়াদ মাহমুদ জানান কিশোরী ধর্ষনের ঘটনায় মামলা রজু হয়েছে। বর্তমানে কিশোরী গাজীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে চেষ্ঠা অব্যহত রয়েছে।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker