কালিয়াকৈরে তিন মাসেও সমাধান না পেয়ে শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক স্কাউট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষের অপসারণের দাবির ঘটনায় তিন মাস ধরে সমাধান না পেয়ে ফের মঙ্গলবার সকালে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
এসময় মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হলে দুর্ভোগে পড়েন ওই মহাসড়কে যাতায়াতকারীরা।পরে থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনরি সদস্যরা তাদের বুঝিয়ে প্রায় দুই ঘন্টা পর দুপুর দেড়টার দিকে দিকে সরিয়ে দিলে মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
শিক্ষার্থীরা ও থানা পুলিশ জানায়, গাজীপুরের মৌচাক স্কাউট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামের অপসারণের দাবিতে গেল প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে দফায় দফায় আন্দোলন করছে ওই স্কুল এন্ড কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।এর আগেও একই দাবিতে কয়েকবার মহাসড়ক অবরোধ বিক্ষোভ করে ।
এতে কোন প্রতিকার না পেয়ে দুর্নীতিবাজ, স্বেচ্ছাচারী ও স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে শিক্ষার্থীরা ফের মঙ্গলবার সকাল সাড়ে এগারোটা থেকে বিক্ষোভ নিয়ে মৌচাক এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে। এসময়ে তারা ওই অধ্যক্ষকে অবিলম্বে পদত্যাগের দাবি জানায়। বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন হাতে নিয়ে বিক্ষোভ করছে তারা।
তাদের দাবি ওই শিক্ষক পদত্যাগ না করা পর্যন্ত মহাসড়ক ছেড়ে যাবে না তারা। মহাসড়ক অবরোধের ফলে দুই দিকের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন মহাসড়কের যাতায়াতকারীরা। পরে বেলা দেড় টার দিকে সেনাবাহিনী এবং থানা পুলিশ শিক্ষার্থীদের বুঝয়ে সড়িয়ে দেয়। তারা বিক্ষোভ নিয়ে কলেজের ক্যাম্পাসে ফিরে যায়।
পরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। অত্র প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষক কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন এরা
হচ্ছে সদ্য-সাবেক সহকারী শিক্ষক মোঃ রবিউল করিম, ফাতিমা তুজ জোহরা, এস এম মেহেদী হাসান শোভন, সাইফুল ইসলাম, প্রভাষক
যুক্তিবিদ্যা লুলু মারজান প্রমুখ।
একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী মহাসিন ইসলাম জানান, কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ আচরন করে। তাদের অভিভাবকদের সঙ্গেও ভালো ব্যবহার করে না। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আছে।
ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তাছমিয়া আক্তার,জেবুন নেছা হিমু,রাবেয়া আক্তার রিমা,আরজু আহমেদ তিব্র জানান সাড়ে তিনমাস ধরে আমরা শহিদুল স্যারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছি ।তার বিরুদ্ধে অনেক অনিয়মের অভিযোগ আছে ।তাছাড়া তিনি লিখিত পদত্যাগের পড়ের কিভাবে আবার ক্যাম্পাসে আসে ।
আমরা র্নিবাহী র্কমর্কতা শিক্ষা র্কমর্কতা ও প্রতিষ্টানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি ।তারা এর আগেও আমাদের প্রতিশ্রæতি দিয়েছে তারপড়েও কিভাবে শহিদুল স্যারের পদত্যাগ পত্র এখনো কার্যকর হয়না ।
তারা কেন বিষয়টি নিয়ে তালবাহানা করছেন ।আমরা লিখিত র্কাযকর পদত্যাগ পত্র চাই তানাহলে অরো কঠোর আন্দোলনে র্কমসূচী দেয়া হবে ।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা র্কমর্কতা মোঃ শওকত আকবর খান বিষয়টি শুনেছি শিক্ষার্থী ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সাথে কথা বলে সমাধান করা হবে ।