গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার রতনপুর এলাকায় গতকাল বুধবার রাতে সাড়ে তিনটার দিকে স্ত্রী ও শাশুড়ির গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালানোর অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।
ঘটনার পর থেকে স্বামী তানভীর হোসেন পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় স্ত্রী ও শাশুড়িকে দগ্ধ অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ত্রী মোর্শেদা বেগমের (২২) মৃত্যু হয়। গুরতর আহত অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন শাশুড়ি ফুলজান বেগম (৪০)।
নিহত মোর্শেদা হলেন, নাটোরের সদর উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের মুকুল আলীর মেয়ে ।ও টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার তানভীর হোসেনের স্ত্রী। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন। তারা মা মেয়ে উপজেলার রতনপুর এলাকার মামুন অর রশিদের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
স্থানীয়রা ও পুলিশ সূত্র জানায়, ৫ বছর আগে তানবীরের সাথে মোর্শেদার প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই দু’জনের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। তাদের তিন বছর বয়সি রাইসা ইসলাম নামের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
এদিকে গত দুই বছর আগে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহের জেরে তারা আলাদা হয়ে যায়। পরে রতনপুর এলাকায় মা ফুলজান বেগমের সাথে মোর্শেদা ভাড়া থাকতেন। তবে মাঝে মধ্যে তানভীর ভাড়া বাসায় যাতায়াত করতেন।
মৃত্যুর আগে মোর্শেদার ভাস্যমতে গতকাল রাতে সাড়ে আটটার দিকে স্বামী তানভীর বাসায় আসেন, পরে রাতের তিনটার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় মোর্শেদা ও তার মা ফুলজান বেগমের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে বাহির থেকে দরজার সিটকিনি দিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় মা মেয়ের আত্মচিৎকারে বাড়ির অন্যান্য ভাড়াটিয়ারা ছুটে আসে। এসময় দুজনের শরীরের প্রায় ৮৫ ভাগ দগ্ধ হয়। পরে তাদের গুরতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের র্বান ইউনিটে ভর্তি করলে সেখানে বৃহস্পতিবার ভোরে মোর্শেদা মারা যায় ।
কালিয়াকৈর থানার ওসি রিয়াদ মাহমুদ বলেন, সকালে আগুনে মা মেয়ের অগিদগ্ধের ঘটনা শুনে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছি। একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আছে। আর মা বার্ণ ইউনিটে ভর্তি আছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।