গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যায় ময়লার ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দু গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় উভয় গ্রুপের মধ্যে কমপক্ষে ১০ জন অহত হয়েছে। আহতরা উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এলাকাবাসী জানান, মৌচাক শিল্পাঞ্চলের প্রত্যেক বাসা বাড়ী থেকে ময়লা গত কয়েক বছর ধরে খাইরুল ইসলাম নামের এক লোক নিজেদের কর্মচারী দিয়ে সংগ্রহ করতেন। পরে প্রতি বাড়ী থেকে একশত থেকে একশত পঞ্চাশ টাকা করে আদায় করতেন। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পরই ওই ময়লার ব্যবসা ওমর ফারুক গ্রুপের লোকজন বাধা দিয়ে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু খাইরুলের পক্ষে জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মোহসিন সরকার বাধা দেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যায় মৌচাক বাজার এলাকায় মোহসিন সরকারের গ্রুপের লোকজন ও ওমর আলীর লোকজনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ১০জন আহত হয়।
আহতদের মধ্যে হলেন, মৌচাক এলাকার সাইফুল ইসলাম (৩৮), হুমায়ু আহমেদ (৪০) ও মৌচাক বাজার সমিতির সভাপতি মাসুদ পারভেজ (৪০) ও তার ছেলে নুর আলম সিদ্দিকী কাব্য (১৮) স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছেন। অন্য আহতরা মৌচাক এলাকার কয়েকটি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসার নিয়েছেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং আরও সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে বলে স্থানীয়রা সূত্রে জানা গেছে।
মৌচাক বাজার সমিতির সভাপতি ও মোহসিন সরকারের বড় ভাই মাসুদ পারভেজ বলেন, গত তিনদিন ধরে আমাদের সাথে ময়লা ব্যবসাকে কেন্দ্র করে উমর আলীদের সাথে ঝামেলা হয়ে আসছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় হটাৎ করেই ওমর আলীর লোকজন আমাদের উপর হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ওমর আলীর মোবাইলে একাধিক ফোন দিলেও তিনি ধরেননি। ফলে তার মোবাইল নাম্বারে একটি ক্ষুদে বার্তা দিলেও তিনি রাত ৯টা পর্যন্ত কোন উত্তর দেন নাই।
কালিয়াকৈর থানার ওসি এএফএম নাসিম বলেন, মৌচাক বাজারের সংঘর্ষের ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।