গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় জেবি টাওয়ারের পাশে পরিত্যক্ত জঙ্গল থেকে শুক্রবার দুপুরে আশা বেগম (৩৩) নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।
নিহত নারী হলেন দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার পূর্ব মহেশপুর গ্রামের আজিজুল হকের মেয়ে ও ঢাকার ধামরাই উপজেলার গনকবাড়ি গ্রামের রাকিব হাসানের স্ত্রী। নিহত ওই কালিয়াকৈর পৌর এলাকার ৭নং ওয়ার্ডের হরিণহাটি এলাকার ফেদু মাতব্বর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুড়িকাঘাতে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে।
স্থানীয়রা ও নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, নিহত আশা বেগম ছয় মাস আগে প্রেম করে রাকিব হাসান কে বিয়ে করেন। রাকিব হাসান স্থানীয় একটি খাবার হোটেলে কাজ করতেন। আশা বেগমের আগে একটি বিয়ে হয়েছিল সেই ঘরে সাবিনা (২২) ও সনিয়া (১৮) দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। আগের স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে ছয় মাস আগে রাকিব কে বিয়ে করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নাইট ডিউটির কথা বলে আশা বেগম চন্দ্রার উদ্যেশ্যে বাহির হয়ে আর ফিরে আসেনি। এদিকে শুক্রবার দুপুরে স্ত্রীকে খুঁজতে গিয়ে রাকিব জানতে পারেন ফাতেমা হোটেলের পিছনে পরিত্যক্ত জঙ্গলে আশার ক্ষতবিক্ষত লাশ পড়ে আছে। এদিকে থানায় পুলিশ না থাকায় পরে কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসকে বিষয়টি জানায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিকাল সাড়ে পাঁচটায় লাশ সেখানেই আছে।
নিহতের স্বামী রাকিব হাসান বলেন, আমার স্ত্রী কোথায় কাজ করতেন আমি জানি না তবে শুধু রাত আটটার দিকে যেতেন সকালে ফিরে আসতেন। বৃহস্পতিবার রাতে আটটার দিকে পল্লী বিদ্যুৎ বাজার পর্যন্ত আমিই এগিয়ে দিয়ে আসি। সকালে ফিরে না আসায় চন্দ্রায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারি কেবা কারা তাকে হত্যা করে জঙ্গলে ফেলে গিয়েছে। তবে থানায় পুলিশ নেই কেউ এখনো পর্যন্ত লাশ উদ্ধার করেনি।
কালিয়াকৈর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা কাউছার আহামেদ কে ঘটনার বিষয়টি জানানো হয়েছে।