কালিয়াকৈর( গাজীপুর)গাজীপুর:
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ঢালজোরা ইউনিয়নের বাসুরা গ্রামে সাপের কামড়ে নিহত সাইফুল ইসলামের পরিবারের পাশে দাড়িয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি।
বুধবার(৩ জুলাই) বিকালে তার প্রতিনিধির মাধ্যমে ওই পরিবারকে আগামী এক মাসের জন্য খাদ্য সামগ্রী দেয়া হয়েছে। নিহত সাইফুল ইসলাম পেষায় একজন রাজমিস্ত্রি ছিলেন। গত শুক্রবার রাত দুইটার দিকে প্রতিবেশীদের সঙ্গে মাছ ধরতে বাড়ির পাশের একটি বিলে যান সাইফুল। পথে তাঁর বাঁ পায়ে সাপে কামড় দিলে সাথে সাথে তিনি অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। এসময় তাঁর সঙ্গে থাকা অন্য ব্যক্তি টেঁটা দিয়ে সাপটি মেরে ফেলেন। পরে মৃত সাপটি নিয়ে সাইফুল বাড়িতে ফিরে স্বজন ও এলাকাবাসীকে সাপে কামড় দেওয়ার ঘটনাটি জানান। প্রথম সাইফুলকে স্থানীয় এক কবিরাজের কাছে নেওয়া হয়।
ঝাড়ফুঁক শেষে কবিরাজের বাড়ি থেকে রাতেই তাঁকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে সাড়ে ছয়টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে সাইফুলের মৃত্যুর পর ওই দিন দুপুরে জানাজা হওয়ার কথা থাকলে এসময় কথিক এক কবিরাজ(ওঝা) মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করবেন এমন সংবাদ ছড়িয়ে পরলে এলাকায় চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়। পড়ে সারাদিন নানা নাটকিয় ঘটনার পর ওই কথিত কবিরাজ পালিয়ে গেলে রাত তিনটার দিকে সাইফুল ইসলামের লাশ কবরস্থানে দাপন করা হয় ।এদিকে পরিবারের একমাত্র উর্পাজন কারী ব্যক্তির এমন মৃত্যুতে দরিদ্র পরিবারটিও সহায়হীন হয়ে পড়ে।
জানা গেছে, গাজীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের নির্দেশে কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ার শাহীন বুধবার বিকালে নিহত সাইফুল ইসলামের বাড়িতে যান। পরে পরিবারের খোঁজ খবর নেন। এসময়ে নিহতের স্ত্রী খাদিজা বেগমের হাতে আগামী একমাসের খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সহায়তা করেন। এর মধ্যে ৫০ কেজির এক বস্তা চাল, ১০ কেজি মুরগি, ২ কেস ডিম, ৫ কেজি তেল, ৫ কেজি আলু, ৫ কেজি পিয়াজ, ১ কেজি আদা ও রসুনসহ বিভিন্ন খাদ্যপন্য। এসময়ে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঢালজোড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইছাম উদ্দিন, সাত নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. জাহাঙ্গীর ও সাবেক মেম্বার কুব্বত আলী।
কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ার শাহীন জানান, ওই পরিবারে আরো দুই ভাই থাকলেও সাইফুলের আলাদ সংসার ছিল। তার মৃত্যুর পর স্ত্রী ও ১১ বছরের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন ও ৩ বছরের মেয়ে তানহা আক্তারকে নিয়ে খুবই অসহায় হয়ে পড়েছেন। তাই মন্ত্রীর নির্দেশে ওই পরিবারকে আগামী এক মাসের সহায়তা করা হয়েছে। ভবিষ্যতেই এই পরিবারের খোঁজখবর রাখা হবে।