পুনম শাহরীয়ার ঋতু, কালিয়াকৈর প্রতিনিধি
হরেক রকম পিঠা সাঝে, পিঠা উৎসব মাতে ভিন্ন ভিন্ন সাধ পাওয়া যায়, হরেক রকম হাতে “এ শ্লোগানকে সামনে রেখে রবিবার (২১ জানুয়ারি) দিন ব্যাপী পালিত হচ্ছে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে তানজিল মাহমুদ একাডেমীতে পিঠা উৎসব। তানজিল মাহমুদ একাডেমী স্কুলের আয়োজনে এ উৎসবে করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক ও ফুলকুঁড়ি কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক এম তুষারী, রতনপুর সেন্ট্রাল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মো: রাকিব উল ইসলাম, অত্র প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হাজী মো: আবু সাঈদ, ইউসুফ আলী রানা, বেলায়েদ হোসেন বিল্লাল, ছানোয়ারসহ স্কুলের সকল শিক্ষার্থীরা, শিক্ষক শিক্ষিকা ও অভিভাবক বৃন্দ।
পিঠা উৎসবে ঝাল-টক পিঠাতে ছিল রুচি উৎসবের ৮টি স্টলে প্রায় দুইশ’ পদের পিঠা নিয়ে হাজির হয়েছেন এলাকার বিভিন্ন মহল্লার পিঠা শিল্পীরা। যার মধ্যে ছিল- ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, দুধ চিতই পিঠা, ঝাল পিঠি, মালপোয়া, মড়ো পিঠা, মালাই পিঠা, মুঠি পিঠা, আন্দশা, কুলশি কাটা পিঠা, কলা পিঠা, খেজুরের পিঠা, গোলাপ ফুল পিঠা, লবঙ্গ লতিকা, রসফুল পিঠা, সুন্দরী পাকান, সরভাজা, পুলি পিঠা, পাতা পিঠা, পাটিসাপটা, পাতা পিঠা, তেলের পিঠা, তেলপোয়া পিঠা, চাঁদ পাকান পিঠা, ছটি পিঠা, পানতোয়া, জামদানি পিঠা, হাঁড়ি পিঠা, ঝালপোয়া পিঠা, ঝুরি পিঠা, ছাঁচ পিঠা, ছটিকা পিঠা, চাপড়ি পিঠা, ঝিনুক পিঠা, র্সূযমুখী পিঠা, ফুল পিঠা, বিরানি পিঠা, সেমাই পিঠা, নকশি পিঠা, দুধরাজ, ফুলঝুরি পিঠাসহ আরও বাহারি সব নামের পিঠা।
এছাড়াও উৎসব প্রাঙ্গনে উন্মুক্ত মঞ্চে সকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত থাকছে নাচ, গান, আবৃত্তি ও পথ নাটকসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়।
অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক তানজিল মাহমুদ জানান, আমাদের দেশে ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ শীত কালীন যে পিঠা উৎসবের আমেজ, তা এ প্রজন্মের কাছে অনেকটাই বিলুপ্ত। নতুন প্রজন্মের কাছে পিঠার পরিচিতি তুলে ধরতে এ পিঠা উৎসবের আযোজন করা হয়েছে। এছাড়াও বাঙ্গালীর ঐতিহ্য ধরে রাখতে এ পিঠা উৎসব প্রতি বছরেই উদযাপিত হবে।