পুনম শাহরীয়ার ঋতু,গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মাটিকাটা ছাপড়া মসজিদ এলাকায় মা ছেলেকে কুপিয়ে জখম করে বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে কতিপয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। আহতরা হলেন উপজেলার মাটিকাটা ছাপড়া মসজিদ এলাকার পন্ডিত আলী বেপারীর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম ও তার ছেলে শাহজালাল হোসেন।
আভিযুক্তরা হলেন একই এলাকার মৃত কাশেম বেপারীর ছেলে মনির হোসেন ও আনিস হোসেন,বাদশা সিকদারের ছেলে বাবুল মিয়া,মৃত ফজল আলীর ছেলে নজরুল হোসেন ও রহিম মিয়া,বাদশা সিকদারের ছেলে আবুল হোসেন মনির হোসেনের ছেলে সফিন আহমেদ।
স্থানীয়রা ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্র জানায় তাদের নিজ বাড়িতে ইসলামী দিন শিক্ষার জন্য একটি মাদ্রাসা স্থাপন করে শাহজালাল ও তার পরিবার। এদিকে মনির হোসেন ও বাবুল মিয়া ঐ মাদ্রাসার সহযোগী মালিকানা রাখার জন্য প্রস্তাব করলে শাহজালাল অশিকৃতি জানায়। এর পর থেকেই শাহজালালের সাথে শত্রুতা সৃষ্টি হলে গত ৬ অক্টোবর স্থানীয় একটি বাড়িতে মিলাদের দাওয়াত খেতে মাদ্রাসার ছাত্ররা গেলে তাদেও সাথে খারাপ আচরন করে মনির ও বাবুল।
ঐদিন সন্ধায় ৮ টা দিকে এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে মনির বাবুল সহ ১০/১২ জন মিলে তার উপর হামলা করে এসময় পাশের টেইলাসের দোকানে থাকা কেচি দিয়ে শাহজালালের মাথায় ও শরিরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে পালিয়ে যায় এসময় আহতের ডাক চিৎকাওেআসে পাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনার ১ ঘন্টা পর অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাদেও সাঙ্গ পাঙ্গ নিয়ে শাহজালালের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার মাকে মারাত্বক ভাবে আহত করে ভাংচুর কওে সিসি ক্যামেরা ও মুল্যমান আসবাবপত্র। লুট করে নিয়ে যায় এক ভরি র্স্বন সহ নগদ ৬ লাখ ৫৭ হাজার টাকা।
এদিকে পুলিশ হেল্প লাইন ৯৯৯ কল দিলে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে আনোয়ারা বেগম কে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে তার শারিরিক অবস্থা বেগতিক দেখে গাজীপুর শহিদ তাজাউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত মহিলার শরিরের বিভিন্ন স্থানে কাটা জখম ও ডান হাতের একটি আঙ্গুল কেটে ফেলে হামলা কারীরা। পরে ঐদিনই বিষয়টি থানায় অবগত করে চিগিৎসা শেষে বুধবার(১১ অক্টোবর) সকালে শাহাজালাল হোসেন বাদি হয়ে মনির ও বাবুল কে সহ ৮ জনকে আসামী করে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কালিয়াকৈর থানার এস আই আফজাল হোসেন জানান মারামারির ঘটনায় দুই পক্ষেরই অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।