পুনম শাহরীয়ার ঋতু, গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক কলাবাধা এলাকা থেকে গতকাল শনিবার(৩০ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে আমির হামজা এক ব্যক্তির মুখবাধা অবস্থায় গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে মৌচাক ফাঁড়ি পুলিশ। নিহত ব্যক্তি কয়েক বছর ধরে মানসিক রুগে ভূগছিলেন সে নিয়মিত মাদক সেবন করতেন।
নিহত ব্যক্তি উপজেলার মৌচাক কলাবাধা গ্রামের মৃত সোহরাব হাসেনের ছেলে। এলাকাবাসী ,নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্র জানায় গতকাল শনিবার রাত ১০ টার দিকে আমির হামজা নিজ বাড়ির কক্ষে ছিলেন এদিকে নিহতের এক আত্বিয় তাকে ডাকতে গেলে বাহির থেকে দরজা বন্ধ দেখতে পায়। এদিকে অনেক্ষন ডাকাডাকির পর কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজা খুলে দেখে ঐ ব্যক্তির মুখ বাধা অবস্থায় গলাকাটা মরদেহ পরে আছে ।পরে পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে রাত ১২ টার দিকে আমির হামজার মুখবাধা অবস্থায় গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে রবিবার(১ অক্টোবর )সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ ।নিহত ব্যক্তি নিয়মিত লোকজন নিয়ে মাদক সেবন ও গান বাজনা করতেন পুলিশের ধারনা মাদক সেবন নিয়েই সহকর্মীদের সাথে মাদক নিয়ে জগড়ার জেরে এ হত্যাকান্ড ঘটনা ঘটতে পারে ।তার স্ত্রী ও দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
নিহত ব্যক্তি মানসিক ভাবে অসুস্থ ও মাদকাআসক্ত হওয়ায় স্ত্রী পপি বেগম তিন সন্তান নিয়ে টাঙ্গাইলের গোপালপুর বাবার বাড়িতে থাকতেন।নিহতের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথেও তার তেমন যোগাযোগ ছিলোনা সে ঐ কক্ষে একাই থাকতেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী পপি বেগম বাদি হয়ে অঞ্জাত্য নামা ব্যক্তির আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই দুলাল আহম্মেদ জানান আমার ভাই নিয়মিত মাদক সেবন করতেন সে কিছুটা মানসিক অসুস্থ ছিলো যার কারনে তার স্ত্রী সন্তানরা নানার বাড়ি থাকতেন ।সে ঐ কক্ষে একাই থাকতেন কারো সাথে কথা বলতেন না মাঝে মাঝে তার বন্ধুদের নিয়ে মাদক সেবন ও গান বাজনা করতেন। মৌচাক ফাড়িঁ ইনর্চাজ শহিদুল ইসলাম পিপিএম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মুখবাধা অবস্থায় নিহতের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে ।সে মানসিক অসুস্থ ছিলেন ও মাদক সেবন করতেন। প্রাথমিক ভাবে ধারনা মাদক সেবনের জেড়ে তার সহর্কমীরা এ হত্যাকান্ড ঘটাতে পারে ।মামলা রজু করা হয়েছে তদন্ত করে হত্যাকান্ডের সাাথে জরিতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।