সাবেক উপমন্ত্রী দুলুকে গ্রেফতারের দাবিতে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ, কুশপুত্তুলিকা দাহ
লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
বঙ্গবন্ধুকে তাচ্ছিল্য করে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে হওয়া মামলায় বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে লালমনিরহাট পৌর ছাত্রলীগের তিনটি ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভ মিছিল শেষে দুলুর কুশপুত্তলিকা দাহ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। এসময় লালমনিরহাট জেলা, সদর ও পৌর শাখার কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার( ১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় লালমনিরহাট পৌর ছাত্রলীগের আয়োজনে এ বিক্ষোভ মিছিল হয়। মিছিলটি লালমনিরহাট সরকারি কলেজ থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মিশনমোড় চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে বিএনপি নেতা দুলুর কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয় এবং তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান ছাত্রলীগ নেতারা।
এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধুকে তাচ্ছিল্য করে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে বিএনপি নেতা আসাদুল হাবিব দুলুর নামে সদর থানায় একটি অভিযোগ দেয় অ্যাডঃ মোঃ রকিবুল হাসান খান রুকু। অভিযোগটি রংপুর তথ্য প্রযুক্তি আদালত থেকে অনুমোদিত হয়ে গত বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। দুলুর নামে করা মামলার এজাহারে জানানো হয়েছে, জেলা বিএনপি নেতা আসাদুল হাবিব দুলু বিভিন্ন সময় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করে বক্তব্য দেয়। সর্বশেষ গত ৩০ আগস্ট লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নে বিকেল আনুমানিক ৫টায় বিএনপি অফিসের সামনে বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি প্রকাশ্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু টঙ্গবন্ধু সব বঙ্গোপসাগরে ভেসে গেছে। বিএনপির মিডিয়া সেল নামক সোশ্যাল মিডিয়া পেজ ওই সময় বক্তব্যটি লাইভ সম্প্রচার করে জাতির পিতার বিরুদ্ধে ব্যাঙ্গাত্বক অসম্মানজনক প্রচারণা চালায়। এছাড়াও সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নে মিলন বাজার এলাকায় এক জনসভায় দুলু তার বক্তৃতায় বলেন, শেখ হাসিনার বাবাকে যত লোক না চেনে তার চেয়ে হাজার গুণ বেশি চিনে ড. ইউনূসকে। তার এ বক্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে নিন্দার ঝড় তোলে আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগসহ আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তবে অভিযোগটি মিথ্যা দাবি করে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বিএনপির নেতাকর্মীরা দফায় দফায় বিক্ষোভ করছে। এর আগে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে করা কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির মিছিলের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সেসময় পুলিশ সদস্যসহ ৫ জন আহত হয়।
লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে থানায় দায়ের করা অভিযোগটি তদন্ত শেষে বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts sent to your email.