ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়ায় ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ৬টার পর এক ফেসবুক বিবৃতিতে দেশটির জরুরি পরিষেবা কর্তৃপক্ষ জানায়, এনারগোদারের জাপোরিঝিয়া এনপিপির প্রশিক্ষণ ভবনে আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়েছে।
ইউক্রেন এর আগে বলেছিল, যে রুশ বাহিনী প্ল্যান্টে হামলা করেছে এবং এর পাশে একটি পাঁচতলা প্রশিক্ষণ ভবনে আগুন লেগেছে।
এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ছয়টি পারমাণবিক চুল্লির রয়েছে, যার একটির কাছে আগুন লাগে। রুশ বাহিনীর হামলায় অগ্নিকাণ্ডের সূচনা বলে উল্লেখ করা হয়। অভিযোগ করা হয়, অগ্নিকাণ্ডের মাঝেও গোলাবর্ষণ অব্যাহত রাখে সেনারা।
এ ঘটনার পরপরই ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি জরুরি সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। শুক্রবার ভোর রাতে সম্ভাব্য পারমাণবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, ‘ইউরোপীয়রা, দয়া করে জাগো!’
তার নেতৃত্বাধীন দলের সঙ্গে কথাও বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রসি।
আইএইএ জানায়, প্ল্যান্টে ‘প্রয়োজনীয়’ সরঞ্জাম এখনো কাজ করছে। সংস্থাটি টুইটারে পোস্ট বলছে, ইউক্রেন জানিয়েছে জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অগ্নিকাণ্ডে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামকে প্রভাবিত করেননি।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পারমাণবিক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ গ্রাহাম অ্যালিসন বলেছিলেন, আগুন অব্যাহত থাকলে চুল্লিটি গলে যেতে পারে। তিনি সতর্ক করে বলেন, তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ছে ১৯৮৬ সালের সালের চেরনোবিল দুর্যোগের মতো আশপাশের অঞ্চল দূষিত হয়ে পড়বে। যা বছরের পর বছর চলতে থাকবে।
অ্যালিসনের মতে, আশপাশের এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করতে রুশ বাহিনী কেন্দ্রটিকে অফলাইন করার চেষ্টা করেছে। ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র জাপোরিঝিয়া ইউক্রেনের প্রায় এক-চতুর্থাংশ বিদ্যুতের জোগান দেয়।