ভারত-পাকিস্তান সংঘাত চরমে: পারমাণবিক সতর্কতায় দুই দেশ, নিহত ৪৮
কাশ্মীর ইস্যুতে সামরিক উত্তেজনা তুঙ্গে, আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ
কাশ্মীরে হিন্দু পর্যটকদের ওপর হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় বিমান বাহিনী পাকিস্তানের তিনটি বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালায়। এর জবাবে পাকিস্তান “অপারেশন বুনইয়ান মারসুস” নামে সামরিক অভিযান শুরু করে, যা গত তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের বিয়াস এলাকায় একটি ব্রাহমোস ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগার, পাঠানকোট বিমানঘাঁটি এবং জম্মু ও কাশ্মীরের উদমপুর বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এই হামলা ছিল ভারতের আগের হামলার প্রতিশোধ এবং তারা বেসামরিক লক্ষ্যবস্তু এড়িয়ে চলেছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ জাতীয় কমান্ড কর্তৃপক্ষের জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছেন, যা দেশের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবস্থাপনার সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সংস্থা। এই পদক্ষেপ সংঘাতের গুরুত্ব ও সম্ভাব্য পরিণতি নির্দেশ করে।
জি-৭ দেশগুলো ভারত ও পাকিস্তানের প্রতি সরাসরি সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছে। তারা কাশ্মীর হামলার নিন্দা জানিয়ে উভয় পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স মন্তব্য করেছেন, “ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ আমাদের বিষয় নয়।”
সংঘাতের ফলে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে এবং ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি পেতে পারে। উভয় দেশের বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে এবং বিমান চলাচল ও পর্যটন খাতে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে।