কখনও ‘বাবু খাইচো’ আবার কখনও ‘মানিকে মাগে হিঠে’, সোশ্যাল মিডিয়ায় গান গেয়ে আলোচনার কেন্দ্রে থেকেছেন হিরো আলম। নেটিজেনরা তাঁর সমালোচনা করেছেন। কিন্তু, তাঁর গাওয়া গান নিমেষে ছড়িয়ে গিয়েছে নেটদুনিয়ায়। ভাইরাল হয়েছে তাঁর বেশিরভাগ গানের ভিডিয়ো। জনপ্রিয়তার পাশাপাশি এই গানগুলি গেয়ে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিপুল পরিমাণে রোজগার করেন হিরো আলম। অঙ্কটা জানতে ‘চোখ কপালে উঠতে বাধ্য’!
ফেসবুকে হিরো আলমের ফলোয়ার ১.৯ মিলিয়ন। ইউ টিউবে Hero Alom Official-এ সাবস্ক্রাইবার ১.৩৫ মিলিয়ন। সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরেই দুই বাংলায় ‘স্টার’ হয়ে ওঠা হিরো আলমের। ‘তাঁর বাবু খাইসো’, ‘ধক ধক করনে লাগা’ গানগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিপুল জনপ্রিয়। এই ভিডিয়োগুলি থেকে কত রোজগার হিরো আলমের?
গণমাধ্যমকে এই তারকা জানান, ফেসবুক এবং ইউটিউব থেকে কোন মাসে কত টাকা রোজগার হয় তা বলা মুশকিল। হিরো আলম বলেন, ‘কোনও মাসে দেড় লাখ, কোনও মাসে ৩ লাখ আবার কোনও মাসে ৫০ হাজার টাকা রোজগার হয়। রোজগারের একটা বড় অংশ মানুষের হাতে তুলে দিই। শুধু সোশ্যাল মিডিয়া থেকে প্রাপ্ত অর্থ নয়, শো করে আমি যে টাকা পাই তার একটা বড় অংশ আমি মানুষের সেবায় ব্যায় করি।’
হিরো আলমের যাত্রাটা ছিল অনেক কঠিন। ভাইরাল হওয়ার সময়ও তিনি জানতেন না ‘ফেম’ এর সঙ্গে সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্থও উপার্জন করতে পারবেন তিনি। ওপার বাংলার এই তারকা বলেন, ‘২০১৮ সালে যখন আমি জনপ্রিয়তার তুঙ্গে তখন প্রথম সোশ্যাল মিডিয়া থেকে টাকা রোজগারের বিষয়টি জানতে পারি। প্রথমে ৫ হাজার ১০ হাজার রোজগার হত। পরে ইউটিউব থেকে আামি এক মাসে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত রোজগার করেছি।’
তবে কোন মাসে কত টাকা আয় করা যায় তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয় বলেও জানান আলম। তাঁর কথায়, ‘আমি সিনেমা তৈরি করছি। সাধারণ মানুষের কাছে ভালোবাসা পাচ্ছি, স্বীকৃতি পাচ্ছি। মানুষের স্নেহ, ভালোবাসা, ভক্তদের ভালোবাসা আমার কাছে সব থেকে বড় পুঁজি।’ শীঘ্রই ভারতে আসার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান হিরো আলম।