বগুড়ায় অবৈধভাবে বন্যপাখি সংরক্ষণের দায়ে এক আতোয়ার আলী(৫২) ব্যক্তিকে ছয়মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তিনি দুপচাঁচিয়া উপজেলার গুনাহার ইউনিয়নের ডাঙাপাড়া এলাকার মৃত ওছিমুদ্দীন সাকিদারের ছেলে। এসময় তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া চার প্রজাতির ৩১৪টি বন্যপাখি ডাক বাংলোতে অবমুক্ত করা হয়।
মঙ্গলবার (০২ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দুপচাঁচিয়া থানা চত্বরে আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী। এসময় রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আহমেদ নিয়ামুর রহমান, দুপচাঁচিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন জিহাদী, আদমদীঘি সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নাজরান রউফ, বগুড়া ডিবির ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ এবং দুপচাঁচিয়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ।
পুলিশ সুপার জানান, বগুড়া ডিবির অভিযানে সোমবার রাত পৌণে ৯টার দিকে ডাঙাপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে ৩১৪টি বন্য পাখি আতোয়ার আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামী আতোয়ার আলী সাকিদারকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, সে দীর্ঘ দশ বছর ধরে অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে হরেক প্রজাতির বন্যপ্রাণী আটক করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চড়া দামে বিক্রয় করে আসছিল।
তার বাড়ি থেকে ৩১৪টি পাখির মধ্যে ফুলমাথা টিয়া ১৪০টি, ৪০টি লাল মাথার টিয়া, তিলা মুনিয়া পাখি ৫০টি এবং ৮৪টি দেশি চাঁদি ঠোট মুনিয়া পাখি।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাকে বন্যপাখি কেনাবেচা ও সংরক্ষণ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুযায়ী তাকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন দুপচাঁচিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন জিহাদী।
পুলিশ সুপার আরও জানান, বন্য পাখি যেন বিলুপ্ত না হয় সেই লক্ষ্য জেলা পুলিশ বগুড়ার এই ধরণের অভিযান চলামান থাকবে এবং বন্যপাখি ক্রয়-বিক্রয় ও সংরক্ষণ বন্ধের জন্য আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। ফুটেজ এবং শর্ট মেইলে পাঠানো আছে ৷ ২ আগস্ট শাহজাহান আলী বাবু বগুড়া ৷
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts sent to your email.