আসন্ন মাদারগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন- ২০২৪ কে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের তৃণমূলের ভোটে নির্বাচিত প্রার্থীদের পক্ষে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রচারণা শুরু করেছেন জামালপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি।
শুক্রবার বিকালে বালিজুড়ী শাহ মাহমুদ ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসা মাঠে মাদারগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৯ মার্চ ১৮ রমজান ২য় দিনের মত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে উপস্থিত নেতাকর্মীদের মাঝে অফিসিয়াল প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন ও তাদের পক্ষে ভোট চাওয়ার আহ্বান জানান প্রধান অতিথি মির্জা আজম এমপি।
শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত আলী’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আজম এমপি বলেন, গত ৯ মার্চ এই মাঠেই আপনাদের উপস্থিতিতে এবং তৃণমূলের ভোটে মাদারগঞ্জে আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল প্রার্থী নির্বাচিত করেছেন চেয়ারম্যান পদে ওবায়দুর রহমান বেলাল, ভাইস চেয়ারম্যান পদে শফিকুল ইসলাম ও লায়লা ইয়াছমিনকে। যারা তৃণমূল ভোটে অংশ না নিয়ে বয়কট করে চলে গেছে আমি তাদের ও সুযোগ দিয়েছি তারা নির্বাচন করুক, কোন বাধাঁ নেই! কারণ দলের জন্য অতিতে শ্রম, মেধাসহ অনেক অবদান আছে তাদের। তবে আজকে এই মঞ্চে যারা বক্তিতা দিলেন তারা কোন প্রার্থীর বিরুদ্ধে কথা বলবেন না। তারা আবেগের বশবর্তী হয়ে চলে গেছে এক সময় তাদের ভুল ঠিকই বুঝতে পারবে এবং পুনরায় আমাদের সাথে যুক্ত হবে। এই সুযোগটা কেড়ে নিয়েন না, সুযোগ টা তাদের দেন।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচনের কয়েকদিন পর থেকেই ওয়ার্ড থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের মেয়াদ উত্তির্ণ সংগঠনগুলোর সম্মেলন শুরু করা হবে।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবু জীবন কৃষ্ণ সাহা, সাধারণ সম্পাদক অফিসিয়াল চেয়ারম্যান প্রার্থী ওবায়দুর রহমান বেলাল, পৌর মেয়র মির্জা গোলাম কিবরিয়া কবির, সহ সভাপতি অরুণ কুমার সাহা, অফিসিয়াল ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিকুল ইসলাম ও লায়লা ইয়াছমিনসহ শহরস্থ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি/সম্পাদক, উপজেলা ও শহর এর সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ। পরে দোয়া ও ইফতার কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে সভার সমাপ্তি করা হয়।
উল্লেখ্য: গত ৯ মার্চ তৃণমূলের ভোটে অফিসিয়াল প্রার্থী নির্বাচিত করা হয়। এরপর ২৮ মার্চ ১৭ রমজান বালিজুড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল থেকে শুরু হয় অফিসিয়াল প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি।
