যশোর

শার্শায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দু-গ্রুপের সংঘর্ষে ৭জন আহত

যশোরের শার্শায় জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দু-গ্রুপের সংঘর্ষে একই পরিবারের ৫ জনসহ ৭ জন গুরুত্বর আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ৩০ মার্চ শনিবার ১১টার সময় শার্শার বহিলাপোতা গ্রামে। আহতরা শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছে। 

আহতরা হলেন, বহিলাপোতা গ্রামের একই পরিবারের মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল মজিদ (৭৫), আব্দুর রশিদ (৭০), আব্দুর রশিদের স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন (৫৫), ছেলে শাহীন আলম (২৭), আব্দুর মুজিদের ছেলে হাদিউজ্জামান (৪০) ও প্রতি পক্ষের আব্দুল লতিফের ছেলে আবুল কালাম (২৫), রেজাউল হোসেন (৪৫)। আহতদের মধ্যে হাদিউজ্জামান ও আব্দুল রশিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আহত আব্দুল মজিদ জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার ২০ শতাংশ জমি প্রতিপক্ষ আব্দুল লতিফ জোর করে দখল করে রেখেছে। এ ছাড়া আব্দুল লতিফের ছেলে রেজাউল দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে, তার বিদেশ প্রবাশী ভাই বিল্লাল হোসেনের স্ত্রীকে উত্তক্তসহ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে, রেজাউল হোসেন রাতের আধারে বাড়ির মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে, মাঠের সেচ মোটর, মোবাইল চুরিসহ নানান অসামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত রয়েছে রেজাউল। এসব কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করার কেউ নেই। কারণ রেজাউলরা ৭ ভাই হওয়ায় কেউ কিছু বললে প্রতিবেশিদের সাথে ঝগড়া বিবাদ ও প্রতিবাদকারীকে মারপিট  করে।

আব্দুল মজিদ আরও বলেন, তার জমি থেকে বাঁশ ও বাঁশের কঞ্চি কাটার সময় প্রতিপক্ষ আব্দুল লতিফের নির্দেশে তার পরিবারের ৫ জনকে পিটিয়ে, কুপিয়ে ফোলাযুক্ত রক্তাক্ত জখম করে।

আব্দুল মজিদ আরও অভিযোগ করে বলেন, প্রতিপক্ষরা সন্ত্রাসী ও দাঙ্গা প্রকৃতির হওয়ায় তাদেরকে জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আব্দুল লতিফের ছেলে আহত আবু কালাম বলেন, তাদের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ সত্য নয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল জাব্বার বলেন, শনিবার পূর্বের বিভিন্ন ঘটনার জের ধরে আব্দুল লতিফ ও তার ৭ ছেলে প্রতিপক্ষ আব্দুল রশিদ ও আব্দুল মজিদের পরিবারের ৫ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করেছে। ইউপি সদস্য আব্দুল জাব্বার আরও বলেন আব্দুল লতিফের ছেলে রেজাউলের বিরুদ্ধে গ্রামের সাধারণ মানুষের অনেক অভিযোগ রয়েছে। সন্ত্রাসী প্রকৃতির ও ৭ ভাই হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না এবং তারা এলাকার কারোর বিচার মানেননা বলে জানান।  

এ ব্যাপারে  জানতে চাইলে শার্শা থানার অফিসার ইন চার্জ মনিরুজ্জামান বলেন, এমন ঘটনায় কেউ থানায় কোন অভিযোগ করেনি। তবে অভিযোগ পেলে তা তদন্ত করে অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


Discover more from MIssion 90 News

Subscribe to get the latest posts to your email.

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker