গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ফালু পালোয়ান হাই স্কুলে বিভিন্ন পদে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করেছেন নিয়োগ বোর্ড। অভিযোগ রয়েছে, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের গাফলিতির কারণেই এই নিয়োগ পরীক্ষায় স্থপিত করা হয়েছে। এতে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা। শনিবার (২৫ মে) দুপুরে উপজেলার চাপাইর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর ফালু পালোয়ান হাই স্কুলে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্কুল তথ্যসূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চাপাইর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর ফালু পালোয়ান হাই স্কুলে গত ১ ফেব্রুয়ারি মাসে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রধান শিক্ষক, নৈশ প্রহরী, নিরাপত্তা কর্মী, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, (পুরুষ ও মহিলা) সহ পাঁচটি পদে নিয়োগ পরীক্ষার সার্কুলেশন দেওয়া হয়। নৈশ পদে নিয়োগ থাকা সত্বেও ওই পদে পূণরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ায় নৈশ প্রহরী ব্যক্তি জজ কোর্টে নিয়োগ স্থগিত চেয়ে একটি রিট করেন। বিষয়টি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খোরশেদ আলম গোপন করে রাখেন। শনিবার সকালে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে স্কুলের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা উপস্থিত হন। কিন্তু নিয়োগ বোর্ডের দুই সদস্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও ডিজি মহোদয় পক্ষ থেকে সদস্য উপস্থিত না থাকায় নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
কিন্তু স্থগিতের আগ মুহূর্তে প্রার্থীদের নিয়োগ বন্ধ করার কোনো নোটিশ প্রদান করা হয়নি। যার ফলে প্রার্থীরা সকাল থেকে স্কুলে অবস্থান নেন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে পরীক্ষার্থীরা।
পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, সকাল নয়টার স্কুলে এসে বসে আছি। এখন বারোটা বেজে গেছে এখনো নিউ বোর্ডের এক সভাপতি ছাড়া কাউকে খুঁজে পাচ্ছি না। পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে বিষয়টি যদি আমাদেরকে জানানো হতো তাহলে কষ্ট করে আমাদের এখানে আসতে হতো না। আমাদের আসতে অনেক কষ্ট হয়েছে। নিয়োগ বোর্ডের সদস্যদের গাফিলতিতে আমাদের এ কষ্ট করতে হচ্ছে।
ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্তর প্রধান শিক্ষক খোরশেদ আলম জানান, নৈশ প্রহরীতে নিয়োগ রয়েছে বিষয়টি আমার জানা ছিল না।স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও নিয়োগ বোর্ডের সদস্য সাইফুজ্জামান সেতু জানান, ভারপ্রাপ্তর প্রধান শিক্ষক নৈশ্য প্রহরী স্কুলে নিয়োগ আছে। বিষয়টি গোপন রেখে পুনরায় ওই পদে নিয়োগ বিজ্ঞাপন দেওয়া ঠিক হয়নি। রেজুলেশন খাতায় যখন উল্লেখ্য করা হয় তখনও তিনি আমাকে জানায়নি। প্রধান শিক্ষকের গাফিলতিতে দূর দূরান্ত থেকে নিয়োগ পরীক্ষা অংশগ্রহণকারী এ ভোগান্তির শিকার হয়েছে।
নিয়োগ বোর্ডের গাজীপুর জেলা ডিসির প্রতিনিধি সদস্য ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুর রহমান জানান, নিয়োগ বোর্ডের দুই সদস্য অনুপস্থিত থাকায় ও একই পদে নিয়োগ দেওয়ার কারণে হাইকোর্টের নোটিশের নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। তবে বিষয়টি আবেদনকারীদের আগেই জানানো উচিত ছিল। তাহলে তাদের এই হয়রানি শিকার হতে হয় না।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.