পাকিস্তানের একটি মসজিদের ভেতরে শক্তিশালী বিস্ফোরণে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অর্ধশত মানুষ।
শুক্রবার (৪ মার্চ) পেশোয়ারের কোচা রিসালদারে মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটেছে।
ডনের খবরে বলা হয়েছে, আহত এবং নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, হামলার ঘটনায় দুই হামলাকারীকে শনাক্ত করা হয়েছে। তারা শহরের কিসা খোয়ানি বাজারের একটি মসজিদে প্রবেশের চেষ্টাকালে এর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তাদের ওপর গুলি চালায়। এতে একজন নিহত ও আরেকজন গুরুতর আহত হন। এরপরেই মসজিদের ভেতরে বিস্ফোরণ ঘটে।
পুলিশ কর্মকর্তা ওয়াহেদ খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, পেশওয়ারের পুরানো শহরের কুচা রিসালদার মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটে, যেখানে মুসল্লিরা জুমার নামাজের জন্য জড়ো হয়েছিল। তাৎক্ষণিকভাবে কেউ বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি।
শায়ান হায়দার নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, আমি যখন মাত্র মসজিদে প্রবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম- তখন হঠাৎ জোরালো শব্দ হয় এবং আমি পড়ে যাই। এসময় চারপাশে ধুলোয় ভরে ওঠে। আমি চোখ খুলতেই দেখি চারপাশে মানুষ ছোটাছুটি করছে। কেউ কেউ ‘বাঁচাও, বাঁচাও’ বলে চিৎকারও করছিলেন। অনেক লোকের দেহ তখন বোমার আঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।
আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত স্থানীয় লেডি রিডিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালটির এক মুখপাত্র জানান, আহতদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে এ ধরনের হামলার নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
প্রসঙ্গত, সংখ্যালঘু শিয়া মুসলিমরা পাকিস্তানে বারবার হামলার শিকার হচ্ছে, পাকিস্তান মূলত একটি সুন্নি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র, দেশটির মুসলিমদের ৫ থেকে ১৫ শতাংশ মানুষ শিয়া। পাকিস্তানের প্রায় সব সুন্নি মুসলিমরা হানাফি মতাবলম্বী।
অপরদিকে শিয়ারা ইতানাআশিরিয়ার অনুসারি এবং অনেকেই আছেন ইসমাইল, নিজারী, আগা খান, মুসতালি, দাউদ বোহরা এবং সোলেমানের মতবাদের অনুসারি।