গাইবান্ধায় এক রশিতে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনাটি আত্মহত্যা নয়; এটি ছিল পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। পরকিয়া প্রেমে বাঁধা দেয়ার জেরে তাদের শ্বাসরোধে হত্যার পর, এক রশিতে গাছের সাথে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। রোববার (১৩ আগষ্ট) বিকেলে জেলা পিবিআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার রহস্য উন্মোচন করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) গাইবান্ধা পুলিশ সুপার এ.আর.এম আলিফ।
তিনি জানান, গত ১২ আগষ্ট সকালে সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের পশ্চিম পেয়ারাপুর গ্রামের ঘাটালের ভিটা নামক স্থান থেকে এক দড়িতে ঝুলন্ত দুই বন্ধু মৃণাল চন্দ্র দাস (২৪) ও সুমন চন্দ্র দাসের (২৩) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে প্রচার করে অভিযুক্তরা। ঘটনার দিন নিহত সুমন চন্দ্র দাসের বাবা সুশান্ত কুমার দাস, সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন । এর পরিপ্রক্ষিতে হত্যায় জড়িত সন্দেহে একই এলাকার প্রদীপ চন্দ্র দাস (২৫) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার কৃত প্রদীপ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেয়। আদালতে দেয়া জবানবন্দির বর্ণনা করে পুলিশ সুপার এ.আর.এম আলিফ জানান, কিছুদিন ধরে নিহত সুমন চন্দ্র দাসের মায়ের সঙ্গে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েন একই এলাকার নিতাই চন্দ্র দাস। সম্প্রতি বিষয়টি জানা জানি হলে সুমন তার বন্ধু মৃণালকে সাথে নিয়ে বাঁধা দেয়। এ নিয়ে দুই বন্ধুর সাথে নিতাই চন্দ্রের কথা কাটাকাটি ও তর্ক থেকে শক্রতার জন্ম হয়।
গত ১১ আগষ্ট নিতাই চন্দ্র দাস তার বন্ধু গ্রেফতারকৃত প্রদীপ চন্দ্রসহ কয়েকজন মিলে মৃণাল ও সুমনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সেই মোতাবেক কৌশলে নির্জন স্থানে ডেকে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা পর, দুই বন্ধুকে এক দড়িতে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এরপর আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে প্রচার চালায়। পুলিশ সুপার এ.আর.এম আলিফ বলেন, ‘চাঞ্চল্যকর ডাবল মাডার মামলার রহস্য দ্রুত উদঘাটন করতে পেরেছে পুলিশ। এখন যত দ্রুতো সম্ভব মামলায় পলাতক বাকি আসামীদের ধরতে অভিযান চলছে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts sent to your email.