জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বৃদ্ধ মা’কে ভরণপোষণ না করে বাড়ী থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগে ছেলে আব্দুল জলিল নামে এক শিক্ষককে গেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত বুধবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী মা খোদেজা বেগম এর দায়ের মামলায় আব্দুর জলিলকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। আব্দুল জলিল শ্যামের পাড়া ফিরোজা মজিদ উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সরিষাবাড়ী থানার (ওসি) মুশফিকুর রহমান।
পুলিশ ও মামলা সুত্রে জানা যায়, উপজেলার মহাদান ইউনিয়নে বাশঁবাড়ী এলাকায় মৃত আব্দুল বারেকের স্ত্রী খোদেজা বেগম। স্বামী মারা যাওয়ার পর একমাত্র ছেলে জলিল ও মেয়েকে নিয়ে স্বামীর বসতবাড়িতে বসবাস করে আসছিল খোদেজা বেগম। মেয়ের বিয়ে হওয়ার পর থেকে বসতবাড়ির সকল জমিজমা লিখে দিতে মাকে জোরপূর্বক চাপ দিতে থাকে ছেলে জলিল মিয়া। ছেলের কথা অমান্য করায় শাস্তিস্বরূপ মাকে থাকার ঘর থেকে বের করে রান্না ঘরে থাকতে দেয় ছেলে। এ ঘটনায় বৃদ্ধ নারী মেয়ের বাড়ীতে চলে যায়। কিছুদিন পর ফিরে আসলে ফের জমিজমা ও গরু-ছাগল লিখে দিতে বলে। এতে রাজি না হলে মাকে মারধর করে ফের বাড়ী থেকে বের করে দেয় মাকে। পরে ভুক্তভোগী মা ছেলের বিরুদ্ধে সরিষাবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
এ-ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘ভরণপোষণ না করে বাড়ী থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনায় জলিল নামে এক ছেলের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী এক মা। অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ছেলেকে আটক করে বুধবার সন্ধ্যায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।