কিশোরগঞ্জে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধানকাটাও শতভাগ শেষ। প্রচণ্ড দাবদাহ ও রোদের মধ্যে হাওরে পুরোদমে চলছে ধান মাড়াই মৌসুম। এলাকার কিষাণ-কিষাণিরা এখন ভীষণ ব্যস্ত, তাদের দম ফেলার ফুরসত নেই। ধান কাটা, বহন করা, মাড়াই করা, শুকানো, ঝাড়াই করে ঘরে তোলার কাজে তারা মহাব্যস্ত। নিরাপদে ধান কাটা শেষের দিকে। পুরুষ শ্রমিকরা ধান কাটছেন আর ধান মাড়াই ঝাড়াই ও শুকানোসহ গোলায় তোলার কাজে ব্যস্ত নারী শ্রমিকরা। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার শ্রমিক হাওরে এসেছেন ধানের কাজ করতে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তথ্যমতে, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিক ধান কাটার কাজ করতে কিশোরগঞ্জে এসেছেন। তার মধ্যে প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক হাওরাঞ্চলে ধান কাটতে এসেছেন। বর্তমানে ৬৩৭ টি হারভেস্টার মেশিন, ৪৭ টি রিপার মেশিন ধান কাটার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
বুধবার (১৫ মে) সরেজমিনে হাওরে গিয়ে দেখা গেছে, হাওরের বেশির ভাগ এলাকার ধান কাটা শেষ। এখন চলছে ধান শুকিয়ে ঘরে তোলার প্রস্তুতি। এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় কৃষকরা স্বস্তিতে ঘরে ধান তুলতে পেরেছেন। প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও হাওরের বোরো ফসল কাটতে আসা শ্রমিকরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম, বাজিতপুর, নিকলি ও তাড়াইলের বড় বড় হাওরের শতভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে। এখন হাওরে চলছে ধান শুকিয়ে ঘরে তোলার কাজ। ধান শুকানোর পাশাপাশি দিন-রাত হাওরের প্রত্যেক বাড়িতে চলছে ধান সেদ্ধ দেওয়ার কাজ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবদুস সাত্তার বলেন, এ বছর হাওরে ১ লক্ষ ৪ হাজার হেক্টর জমি আবাদ হয়েছে। এ বছর হাইব্রিড ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় স্বাচ্ছন্দ্যে কৃষকরা ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।