মাহফুজ হাসান,কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
চিউক চিউক চড়ুই ডাকে
ছোট্ট-বড় পাতার ফাঁকে
মায়া-মধুর সুরে,
স্বপ্নগুলো যায় যে বুনে
চিকন গলার স্বরটা শুনে
কেমনে থাকি দূরে?
কবিতার এ পঙক্তিগুলি কবি লিখেছেন সেই বাবুই পাখির সাথে তর্ক করা, পরের অট্টালিকা বা কূড়ের ঘরের কোনে বাসা বেঁধে বসবাস করা চড়ুই পাখিকে নিয়ে, চড়ুই পাখি পরের ঘরে বাস করলেও এখন বন বাদাড়ে দলগত বসবাস করতেও দেখা যায়।
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চারিদিকে সন্ধ্যা হলেই চড়ুই পাখির কিচিরমিচির শব্দে মুখরিত হয় পরিবেশ। গত তিন-চার মাস ধরে প্রতিদিন হাসপাতালের গাছপালা ও আশেপাশে দেখা যাচ্ছে লক্ষাধিক পাখি।
সন্ধ্যা নামার আগেই হাসাপাতাল চত্বরে ফিরে সারারাত থেকে সকাল হলেই আবার উড়াল দেয়া পাখিদের প্রতিদিনের রুটিনে পরিনত হয়েছে। হাসপাতালে পাখিদের এমন বিচরণ সেখানকার রোগী ও স্বজনদের মন ভালো করে দিচ্ছে।
জানা গেছে, হাসাপাতালের ছাদ ও চারদিকের বিভিন্ন গাছে আশ্রয় নেয়া চড়ুই পাখিগুলো পাতি চড়ুই জাতের৷ এসব পাখির দেহ উজ্জ্বল কালো, বাদামি ও ধূসর চিহ্নযুক্ত। হাসপাতাল চত্বরের ভেতরে ফুলের বাগানের পাশাপাশি আম,রেইনট্রি সহ বিভিন্ন জাতের গাছ রয়েছে। প্রতিদিন এসব গাছে-গাছে আসে লক্ষাধিক চড়ুই পাখির ঝাঁক। এসব পাখির কলরব তৈরি হয় হাসপাতালের ভেতরে ও বাইরের প্রতিটি গাছে কিচিরমিচির শব্দে। প্রতিদিন সন্ধ্যার আগেই শুরু হয় পাখিদের আশ্রয় নেয়ার মহড়া। এরপর গাছে-গাছে আশ্রয় নেয়।
স্থানীয় সাগর আহমেদ জানান,হাসপাতাল মানেই নানা দুঃখ-কষ্ট যন্ত্রণার জায়গা। এখানে বিপদে পড়েই মানুষ আসতে বাধ্য হয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই সকলের মন খারাপ থাকে। কিন্তু পাখিদের এমন বিচরণ সাময়িক সময়ের জন্য হলেও রোগী ও তাদের স্বজনদের মন ভালো করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তানভীর হাসান জিকো বলেন, এখানে এসব পাখিগুলোকে কেই বিরক্ত করে না। যে কারণে তারা এখানে অবস্থান করে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে হাসপাতালে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের এসব পাখিদের বিরক্ত না করার অনুরোধ করেন তিনি।