শিক্ষকদের দাবী, গত এক সাপ্তাহ আগে উপজেলা মধ্যপাড়া ইউনিয়নের সেজাবহ গ্রামের ব্লগার মো: আলম হাসান তার ব্যবহৃত একটি ফেসবুক পেইজে প্রাথমিক শিক্ষকদের ছুটি নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও অকথ ভাষায় গালিগাজ েকরে একটি ভিডিও পোষ্ট করেন। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে কালিয়াকৈর উপজেলার সরকারী প্রাথমিক শিক্ষকদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। এ বিষয়টি উপজেলা সরকারী প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতাদের দৃষ্টিগোচর হলে গত ২৮ মার্চ সকালে সমিতির সভাপতি মো: আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দেন এবং ব্লগার মো: আলম হাসানকে গ্রেপ্তারের দাবীতে সমিতির নেতারা কর্মসুচী দেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে দুই শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা উপজেলা পরিষদ এলাকায় মানববন্ধন করেন। মানববন্ধন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তৃতা করেন, শিক্ষক সমিতি কালিয়াকৈর উপজেলা শাখার সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আরিফ দেওয়ান, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান ইয়াছিন, মাসুদ রানা, মনিরুজ্জামান, এসএম মিজানুর রহমান, মনির হোসেন, মোহাম্মদ আলী, আব্দুল মজিদ, তাসমিনা আক্তার, নাজমুল প্রমুখ। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি স্বারক লিপি জমা দেন।

সেই ব্লগারের মন্তব্য

সেই ব্লগারের সংবাদ সম্মেলন

গাজীপুরের কোনাবাড়ী সাংবাদিক কার্যালয়ে লিখিত সংবাদ সম্মেলনে ব্লগার মো: আলম হাসান বলেন, গত ২৩ মার্চ আমার একটি ফেইসবুক আইডি থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ছুটি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করি। পরবর্তিতে নিজের ভুল বুঝতে পেরে কয়েক ঘন্টা পর অপর আরেকটি লাইভে এসে শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা চাই। কিন্তু সেই ফেইসবুক লাইভের আপত্তিকর কথায় শিক্ষকরা ক্ষুব্ধ হয়ে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির পক্ষ হতে আমাকে গ্রেপ্তারের দাবী জানান। এতে ভয় আর আতংকে দিন কাটছে আমার পরিবারের সদস্যদের।

এসময় তিনি আরো বলেন শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড আর শিক্ষকরা হলো মানুষ গড়ার কারিগর আর সেই সকল শিক্ষকদের নিয়ে ফেইসবুক লাইভে এসে এভাবে কথা বলা উচিত হয়নি। তাই আজকের সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দেশের সকল শিক্ষকদের কাছে আবারো ক্ষমা চাই।