সখিপুর

সখীপুরে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ: ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি

টাঙ্গাইলের সখীপুরে প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বন্ধুদের সহায়তায় একাধিকবার স্কুলছাত্রী’র (১৫) সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে কলেজ ছাত্র। এক পর্যায়ে তরুণী তার প্রেমিক ছানোয়ার হোসেনকে (১৮) বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে তাদের শারিরীক সম্পর্কের ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকিসহ নানা টালবাহানা শুরু করে।

আরো পড়ুন: পদ্মা সেতুতে রেললাইন বসানোর কাজ শেষ

অভিযোগ ওঠেছে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টায় টাকার বিনিময়ে মেয়ের পরিবারকে নানা ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন এলাকার কিছু মাতাব্বর। উপজেলার নবগঠিত বড়চওনা ইউনিয়নের শিরিরচালা পূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই তরুণী স্থানীয় একটি মাধ্যমিক স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং অভিযুক্ত ছানোয়ার একই এলাকার তোফাইনার ছেলে ও ময়মনসিংহের নটরডেম কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র।

গত ২৭ মার্চ সোমবার এ ঘটনায় সখীপুর থানায় ছানোয়ারকে একমাত্র আসামি করে লিখিত আবেদন করেন ওই তরুণীর বাবা মজনু মিয়া। অভিযোগের চারদিন পেরিয়ে গেলেও কোন ব্যবস্থা নেননি পুলিশ, এমনটি অভিযোগ করেছেন মেয়ে ও তার পরিবার।

আরো পড়ুন: মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

মেয়েটির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাস ছয়েক আগে মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে প্রতিবেশী ছানোয়ার হোসেনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ১ম বার শারিরীক সম্পর্ক করে এবং ভিডিও ধারন করে। পরে গত ৬ মাসে ওই তরুণীকে ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ছানোয়ার ও তার দুই বন্ধু একই এলাকার আজমত আলীর ছেলে মাছুম (২২) এবং আবু হানিফ মিয়ার ছেলে শাওন আহমেদ (১৮) এর সহযোগিতায় তাকে একাধিকবার মেলামেশা করাতে বাধ্য করা হয়। এক পর্যায়ে ছানোয়ারকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে, সে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় এবং ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকিসহ নানা টালবাহানা শুরু করে।

আরো পড়ুন: পুত্র সন্তানের মা হলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি

অভিযোগকারী তরুণীর বাবা মজনু মিয়া দ্রুত বখাটে ছানোয়ার ও তার দুই বন্ধুকে গ্রেফতারের দাবি জানান। অভিযুক্ত কলেজ ছাত্র ছানোয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সে ওই তরুণীর সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা স্বীকার করে, এ ব্যাপারে নবগঠিত বড়চওনা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক সখীপুর উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো: আনোয়ার হোসেন ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রেজাউল করিম এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে এবং ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে দায়ীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেন।


Discover more from MIssion 90 News

Subscribe to get the latest posts to your email.

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker