ইন্দোনেশিয়ায় ১৩ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের দায়ে হেরি উইরাওয়ান (৩৬) নামের এক শিক্ষককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত। ধর্ষণের শিকার ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সী ওই শিক্ষার্থীদের মধ্যে আটজনই গর্ভবতী হয়ে পড়েন।
সোমবার (৪ এপ্রিল) দেশটির হাইকোর্ট হেরির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে সরকারি কৌঁসুলিরা মৃত্যুদণ্ড চাইলেও বানদুং শহরের নিম্ন আদালত হেরিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল। কিন্তু পরে নির্যাতিতরা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন।
সোমবার বানদুংয়ের উচ্চ আদালতের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে বিচারক বলেন, “আমরা এতদ্বারা আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি দিচ্ছি।”
উচ্চ আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা আপিল করবেন কি না, হেরির আইনজীবী মামবোকে এমন প্রশ্ন করা হলে এ বিষয়ে মন্তব্যের আগে রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি দেখতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আদালত সূত্রে জানা যায়, অনেক দিন ধরেই দরিদ্র পরিবারের মাদ্রাসা (ইসলামি বোডিং স্কুল) শিক্ষার্থীদের ওপর ধর্ষণ ও নির্যাতন করে আসছিলেন হেরি। ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে হেরি যৌন নিপীড়ন করার অভিপ্রায়ে ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সী ১৩ বালিকার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তাদের ধর্ষণ করেন এবং তাদের মধ্যে আট জন গর্ভবতী হয়ে পড়েন।
ইন্দোনেশিয়ার শিশু সুরক্ষামন্ত্রীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারাও ওই শিক্ষকের মৃত্যুদণ্ডের আবেদনে সমর্থন জানান। তবে দেশটির মানবাধিকার কমিশন এই মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করে সমালোচনা করেছে।