ভূমিকম্পে তাসের ঘরের মত গুঁড়িয়ে গিয়েছে ঘর-বাড়ি, কমপক্ষে ৪২ জনের মৃত্যু, তুরস্কে জারি জরুরি অবস্থা
সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে তাতে দেখা গিয়েছে একাধিক বহুতল ভেঙে পড়েেছ। একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়ার ছবি দেখা গিয়েছে। সূত্রের খবর তুরষ্কের কম্পনের তীব্রতার জেরে লেবানন এবং সিরিয়াতেও অনুভূত হয়েছে কম্পন। কম্পন অনুভূত হয়েছে ইরাক, ইজরায়েল, সাইপ্রাসের একাধিক জায়গায় অনুভূত হয়েছে কম্পন। ভূমিকম্পের তীব্রতায় ৩৪টি বহুতল একেবারে গুঁড়িয়ে গিয়েছে। কমপক্ষে ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আহত হয়েছেন ৪০০-র বেশি মানুষ।
তুরস্কের একাধিক জায়গায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। সোশ্যাল মিড়িয়ায় একাধিক বাড়ি ভেঙে পড়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেও। সরকারি ভাবে তুরস্কের পক্ষ থেকে তেমন কোনও তথ্য জানানো হয়নি। কয়েক মাস আগে তুরস্কে একবার কম্পন অনুভূত হয়েছিল। সেসময় রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৫-র কাছাকাছি। এর আগেও তুরষ্কে ভয়াবহ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতিও প্রচুর হয়েছে।
শহরে পথদুর্ঘটনা কমাতে রোড সেফটি অ্যাওয়ারনেসের উদ্যোগ নিল কলকাতা পুলিশ কয়েকদিন আগে তুরস্ক সংলগ্ন ইরানে তীব্র ভূমিকম্পে ২ জন মারা গিয়েছিলেন অসংখ্যা ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছিল। তারপরেও আবার পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানে অনুভূত হয়েছিল কম্পন। পর পর এশিয়া মহাদেশের একাধিক জায়গায় কম্পন অনুভূত হচ্ছে। তাই নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন গবেষকরা। কীভাবে এই ভূমিকম্প হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ গত বছর থেকেই ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, আফগানিস্থান, এমনকী চিনেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। পর পর একই রিজিওয়নে এই ধরনের ভূমিকম্পের প্রবণতা উদ্বেগ বাড়িয়েছে ভূবিজ্ঞনীদের। কয়েকদিন আগে তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে ইন্দোনেশিয়ায়। সেই ভূমিকম্পে ১৬২ জন মারা গিয়েছেন। সেই ভূমিকম্পের পরে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছিল ইন্দোনেশিয়ায়। যদিও সেটা হয়নি।
ভারতেও একাধিক জায়গায় একাধিকবার ভূমিকম্প হয়েছে। কয়েকদিন আগেও রাজধানী দিল্লিতে পর পর ২ বার কম্পন অনুূভূত হয়েছে। ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কের পাশে দাঁড়াল ভারত, সাহায্যের প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রী মোদীর পর পর তিনবার কম্পন অনুভূত হয়েছে। প্রথমবার কম্পন অনুভূত হয়েছে যার রিখটারস্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৬। তার ঠিক ১১ মিনিটের মধ্যে আবারও কম্পন অনুভূত হয় যার তীব্রতা ছিল ৬.৭। পর পর তিনবার কম্পনে বহু বাড়িঘর ভেঙে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।এখনও পর্যন্ত কোনও মৃত্যু বা হতাহতের খবর সরকারি ভাবে নিশ্চিত করা হয়নি। প্রথমে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব না পাওয়া গেলেও পড়ে জানা গিয়েছে কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে শক্তিশালী ভূমিকম্পে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। তাসের ঘরের মত একাধিক বাড়ি ঘর ভেঙে পড়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর ৩৪টি বাড়ি একেবারে গুঁড়িয়ে গিয়েছে। ভোরবেলায় কম্পন হওয়ায় সকলে সেসময় বাড়িতেই ছিলেন এবং ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। তুরস্কে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আরও দেহ চাপা পড়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।