তাদের নিজস্ব কল সেন্টারের সেটআপ ফিজিক্যাল অফিসে স্থানান্তরিত করার প্রক্রিয়া রোববার (২৯ আগস্ট) থেকে শুরু হবে। ফলে এদিন থেকে ইভ্যালির গ্রাহক সেবায় কিছুটা বিঘ্ন ঘটবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
শনিবার (২৮ আগস্ট) ইভ্যালি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে ইভ্যালি। মিশন নাইনটির পাঠকদের জন্য তাদের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিটি হুবহু নিচে তুলে ধরা হলো।
‘কল সেন্টারের সেবা সংক্রান্ত জরুরি নোটিশ:
সম্মানিত গ্রাহক,
ইভ্যালি তার গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে সবসময় বদ্ধপরিকর। সরকারি নির্দেশনা এবং সকল ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ২৯ আগস্ট, রোববার থেকে কল সেন্টার ফিজিক্যাল অফিস শুরু হবে। হোম অফিস থেকে কল সেন্টার সেটআপ পুরোপুরি ফিজিক্যাল অফিসে স্থানান্তরিত করার প্রক্রিয়ায়, সময় এবং ক্ষেত্রবিশেষে কল সেন্টারের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক সেবা পেতে আপনাদের কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাময়িক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সাময়িক এই অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
আমাদের কল সেন্টার সেটআপ ফিজিক্যাল অফিসের স্থানান্তরিত করার কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। সমস্যার সমাধানে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। খুব শিগগিরই আমরা আপনাদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে পারব বলে আশা রাখছি।
ইভ্যালি আপনার। আপনাদের জন্যই আমাদের সকল প্রচেষ্টা।
ইভ্যালির সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।’
এদিকে আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-ভ্যালিতে যমুনা গ্রুপ এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের ঘোষণা করলেও এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানিয়েছে তারা। অডিটের চূড়ান্ত রিপোর্ট পেলে বিনিয়োগ করবে কি না জানাবে গ্রুপটি।
শুক্রবার (২৮ আগস্ট) এক জরুরি ঘোষণায় এ কথা জানান যমুনা গ্রুপ পরিচালক (মার্কেটিং, সেলস অ্যান্ড অপারেশনস) ড. মোহাম্মদ আলমগীর আলম।
জরুরি ঘোষণায় বলা হয়, ইভ্যালিতে যমুনা গ্রুপের বিনিয়োগের আগে ইভ্যালির গ্রাহকদের ও পণ্য সরবরাহকারীদের পাওনা বা দায়-দেনা নির্ধারণের লক্ষ্যে যমুনা গ্রুপের উদ্যোগে অডিট চলছে। যেহেতু এখনো অডিট কার্যক্রম শেষ হয়নি ও অডিটের চূড়ান্ত রিপোর্ট যমুনা গ্রুপের হাতে আসেনি তাই ইভ্যালিতে বিনিয়োগের বিষয়ে যমুনা গ্রুপ এখনো চূড়ান্ত কোনো অফিশিয়াল স্টেটমেন্ট দিতে প্রস্তুত নয়। অডিট শেষ হলে যথাসময়ে যমুনা গ্রুপ তার বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত ও বিস্তারিত কর্মপদ্ধতি মিডিয়ার সামনে প্রকাশ করবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বিভিন্ন সূত্রের খবর জানায়, একটি পক্ষ যমুনা গ্রুপকে ‘ভুল’ বুঝিয়ে এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল। এমন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগে যমুনা গ্রুপের ‘রেপুটেশন’ ‘ক্ষতিগ্রস্ত’ হওয়ার আশঙ্কা আছে। এমন পরিস্থিতিতে ইভ্যালিতে বিনিয়োগ করা থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যমুনা গ্রুপ।
তবে এখন পর্যন্ত যমুনা গ্রুপ একটি টাকাও বিনিয়োগ করেনি বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
যমুনা গ্রুপ এর মালামাল বছরের পর বছর যা ইভ্যালির মাধ্যমে বিক্রি হতো তা যাদি যমুনা গ্রুপ নিজেরা কিছু করতে চায় তাহলে ইভ্যালিতে যেই পরিমাণ বিক্রি হতো তার ৫০% ও নিজেরা বিক্রি করতে পারবে না..!
মানুষের এখনও ইভ্যালির প্রতি আস্তা আছে থাকবে ইনশাআল্লাহ.!