বাণিজ্য

১৫ বিদেশি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদে বাংলাদেশি

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীদের আনতে বিডার সঙ্গে কাজ করবে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি)। এক সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানান ফিকির সভাপতি ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)নাসের এজাজ বিজয়। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সজীব আহমেদ।

আগামী দুই বছর ফিকির পরিকল্পনা হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগকারীদের মধ্য থেকে চিহ্নিত করে দেশে বিনিয়োগ আনতে বিডার সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করা—এমনটা জানিয়ে ফিকির সভাপতি নাসের এজাজ বিজয় বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের বেশ সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের বাজার অনেক বড় হচ্ছে।

এই বাজার ঘিরে নজর আছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকার বেশ বড় হয়েছে।

১৫ বছর আগে ৮০ বিলিয়ন ডলারের বাজার ছিল, সেটা এখন বেড়ে হয়েছে ৪৬০ বিলিয়ন ডলারের মতো। দেশের বিদ্যমান বাজারকে বেশ বড় হিসেবে দেখছেন বিনিয়োগকারীরা।

যেসব কারণে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে এক্সপোর্ট, হোম রেমিট্যান্স, ইনফাস্ট্রাকচার ও অ্যাগ্রিকালচার।

এই চারটি খাত আমাদের বাজার এই পর্যায়ে নিয়ে আসতে সাহায্য করেছে। এই খাতগুলোতে ইনোভেশন ও টেকনোলজি ব্যবহারের মাধ্যমে আরো বিশাল কাজের সুযোগ রয়েছে।

এ ছাড়া আমাদের বিভিন্ন খাতে সুযোগ আছে।নাসের এজাজ বিজয় আরো বলেন, ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন, নলেজ ট্রান্সফার ও পলিসি অ্যাডভোকেসি এই তিনটি বিষয়ের ওপর ফিকি কাজ করছে।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ফিকির সদস্যরা বেশ ভালো ভূমিকা রাখছেন। এ দেশে সরকারের অভ্যন্তরীণ রাজস্বের ৩০ শতাংশ দেয় ফিকির ২০০ জন সদস্য। দেশে যত বিদেশি বিনিয়োগ আসে, তার ৯০ শতাংশই আনেন ফিকির সদস্যরা।

ফিকির সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মোট ৫০ লাখ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ করেছে। এ দেশে প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং ব্যাবসায়িক উদ্ভাবনেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো।

তিন দশক আগে এ দেশে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রধান নির্বাহী হিসেবে বাংলাদেশিদের পাওয়া যেত না। এখন গ্রামীণফোন, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ও ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকোসহ অন্তত ১৫টি বিদেশি প্রতিষ্ঠানে প্রধান নির্বাহী হিসেবে বাংলাদেশিরা কাজ করছেন।
নির্বাচন পরিস্থিতির কারণে এই বছর বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ কিছুটা কম। নির্বাচন শেষ হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তখন আবার বিদেশি বিনিয়োগের গতি বাড়বে বলে জানান নাসের এজাজ বিজয়।

ফিকির ৬০ বছর পূর্তির বিষয়ে তিনি বলেন, একটি প্রতিষ্ঠান যখন ৬০ বছর টিকে থাকে তাহলে বোঝা যায় প্রতিষ্ঠানটি সফল। বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো বিনিয়োগ করার আগে তারা জানতে চায় বাংলাদেশে বিদ্যমান বিনিয়োগকারীরা কী অবস্থায় রয়েছে। তারা কেমন করছে। বিদ্যমান বিনিয়োগকারীরা যে ভালো করছে তার কোনো সন্দেহ নেই। তার পরও বাংলাদেশে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেগুলো সমাধানেও কাজ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।


Discover more from MIssion 90 News

Subscribe to get the latest posts to your email.

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এছাড়াও পরীক্ষা করুন
Close
Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker