পরিবারে স্বচ্ছলতা আনতে সৌদি আরব যাওয়ার কথা ছিল কিশোরগঞ্জের মিঠামইনের রাসেল মিয়ার। ঢাকায় বিমানবন্দর পর্যন্ত যাওয়ার জন্য রাসেলের সঙ্গী হয়েছিলেন মা সহ চার স্বজন। তারা উঠেছিলেন আন্ত নগর এগারসিন্দুর ট্রেনে। ভৈরবে দুর্ঘটনায় বাকি তিনজন অক্ষত থাকলেও রাসেল মারা গেছেন।
রাসেল মিঠামইনের ঘাগড়া এলাকার হাবিব মিয়ার ছেলে। আগামীকাল বুধবার তাঁর সৌদি আরব যাওয়ার কথা ছিল। মা রোকেয়া বেগম, ছোট ভাই শামীম মিয়া, বোন জামাই শাহ আলম, ভাগনি ইভাকে সঙ্গে নিয়ে গতকাল সোমবার তিনি ঢাকায় যাচ্ছিলেন। এগারসিন্দুর ট্রেন ভৈরর স্টেশন পার হওয়ার পরপরই মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আসির উদ্দিনের পরিবারে স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়ে আছে। নরসিংদীতে ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। পারিবারিক কাজে গ্রামের বাড়িতে এসে সোমবার নরসিংদী ফিরে যাচ্ছিলেন।
আসিরের বোন সাবিনা বেগম বলেন, মানিকখালি স্টেশন থেকে তাঁর ভাই ট্রেনে ওঠেন। কয়েকঘণ্টা পর ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পান। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে তারা একেবারে অসহায় হয়ে পড়েছেন।
ঢাকার একটি পোশাক কারখানারকর্মী হীরা আক্তার তিনদিন আগে কিশোরগঞ্জে গ্রামের বাড়ি এসেছিলেন। দুর্ঘটনায় তিনিও মারা গেছেন। হাসপাতালে তাঁর লাশ শনাক্ত করেন চাচা বাতেন মিয়া। বলেন, ‘পরিবারের আয় বাড়াতে ঢাকাতে কাজ করতো হীরা। এখন সেই আশা শেষ হয়ে গেলো।’