লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বড়খাতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামান সোহেলের বিরুদ্ধে এক ব্যক্তিকে মারধর ও জোর পূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিযার্তনের শিকার জহুরুল হক বাদী হয়ে চেয়ারম্যানসহ ৩ জন গ্রাম পুলিশকে আসামী করে হাতীবান্ধা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বুধবার (৩০ জুন) বিকেলে হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এরশাদুল আলম অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিযার্তনের শিকার জহুরুল হক বর্তমানে হাতীবান্ধা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
হাতীবান্ধা থানা পুলিশ ও অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ওই ইউনিয়নের পশ্চিম সারডুবী এলাকার জামাল উদ্দিনের পুত্র জহুরুল হকের সাথে তার ভাইয়ের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে আদালতে একটি মামলা বিচারধীনও রয়েছে। ওই ঘটনার জের ধরে বুধবার ভোর রাতে বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদের কয়েকজন গ্রাম পুলিশ জহুরুল হককে তার বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে আসে। সকাল ১০ টার দিকে বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামান সোহেল ইউনিয়ন পরিষদে এসে আটক জহুরুল হককে পরিষদের হলরুমে নিয়ে যেতে গ্রাম পুলিশদের নিদের্শ দেয়। পরে হলরুমে জহুরুল হককে আটকিয়ে চেয়ারম্যান ও কয়েকজন গ্রাম পুলিশ নিযার্তন করেন। পরে সাদা কাগজে জোর পূর্বক জহুরুল হকের স্বাক্ষর নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। নিযার্তনে জহুরুল হক অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাতীবান্ধা হাসপাতালে ভর্তি করান।
এ ঘটনায় বুধবার রাতে বড়খাতা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামান সোহেল ও ৩ জন গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন জহুরুল হক।
তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বড়খাতা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামান সোহেল বলেন, জহুরুলের সাথে তার ভাইয়ের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। ওই মামলার তদন্ত আমার কাছে এসেছে আদালত থেকে। আমি দুই পক্ষকে ডেকে পুরো বিষয়টি অবগত হয়েছি মাত্র।
হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম বলেন, বড়খাতা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামান সোহেলের বিরুদ্ধে জহুরুল হক নামে এক ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে মারধর ও জোর পূর্বক স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.