জরাজীর্ণ প্রতিষ্ঠান থেকে ভোট কেন্দ্র পরিবর্তনের দাবি ভোটারদের

কেবল নামেই প্রতিষ্ঠান, জানালা দরোজা বিহীন ঝুপ-জঙ্গলে ঘেরা। নাম তার ইবতেদায়ী অ্যান্ড দাখিল মাদ্রাসা। এ প্রতিষ্ঠানটি আবার আসন্ন চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনের ভোট কেন্দ্র।

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চর সরিষাবাড়ী উত্তর পাড়া ৩নং ওয়ার্ডের ভোট গ্রহণের জন্য কেন্দ্র হিসেবে আয়োজন করা হবে এই পরিত্যক্ত প্রতিষ্ঠানে।

এবিষয়ে স্থানীয় ভোটাররা ভোটকেন্দ্র পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।

জানা যায়, উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চর সরিষাবাড়ী উত্তর পাড়া এলাকায় ১৯৯১ সালে ইবতেদায়ী অ্যান্ড দাখিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। সরিষাবাড়ী ও কাজিপুর উপজেলার সীমানাবর্তী এলাকায় এ প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত না হলেও অনুমোদন নিয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। শিক্ষক-কর্মচারিরা সরকারি ভাবে কোনো আর্থিক সুবিধা না পেলেও চালিয়ে আসছে মাদ্রাসার কার্যক্রম। আশপাশে তেমন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় এ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী সংখ্যা উল্লেখ করার মতো। করোনা মহামারির কারণে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন মাদ্রাসাটি বন্ধ থাকায় পরিত্যক্ত হয়ে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানের কক্ষগুলোতে নেই কোনো দরজা-জানালা, চেয়ার-টেবিল, টয়লেট কিংবা পানির ব্যবস্থা। এ কারনে অঘোষিতভাবে স্থানীয় লোকদের দখলে চলে গেছে। কক্ষগুলোতে কেউ রেখেছে জালানি কাঠ, কেউ রেখেছে গরুর খাবারের খর। আবার কেউ রেখেছে কৃষি যন্ত্রপাতি ও মালামাল। শ্রেণী কক্ষে রাতে রাখা হয় গবাদি পশু।

নানা কারনে মাদ্রাসটি বেশ জরাজীর্ণ ঝুপ-জঙ্গলে ছেয়ে গেছে। যেন দেখার কেউ নেই। এমন একটি প্রতিষ্ঠানকে আগামী ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট কেন্দ্র করা হয়েছে। এতে বেকায়দায় পড়েছেন প্রার্থীসহ ভোটাররা। এ কারনে ওই ভোট কেন্দ্র পরিবর্তনের জন্য ভোটাররা  সম্প্রতি উপজেলা নির্বাচন অফিসে ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন দিয়েছেন ।

ভোটারদের মধ্যে উম্মত আলী ও শরিফুল ইসলাম বলেন, ভোট কেন্দ্রটি ভোটের আগে সংস্কার করতে পারলেও এ কেন্দ্রে ভোটদান করা বেশ ঝুঁকিপুর্ন হয়ে পড়বে। তাই ভোট পরিবর্তনের জন্য আবেদন দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ভোট কেন্দ্রটি পরিবর্তন চেয়ে লিখিত আবেদন পেয়েছেন তিনি। এ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপমা ফারিসা বলেন, এ ভোট কেন্দ্রের বিষয়ে তার কোন কিছু জানা নেই। ভোট কেন্দ্রটি পরিদর্শন করে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে তিনি আরো জানান।